মালয়েশিয়া যাওয়ার চেষ্টাকালে সেন্টমাটিনের অদূরে ট্রলার ডুবি ঘটনায় উদ্ধার করা ১০৯জন যাত্রীকে আদালতের নির্দেশনা মোতাবেক অভিভাবকের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে। তবে সাগর থেকে আর কোনো লোকজন জীবিত বা মৃত উদ্ধার করা সম্ভব হয়নি। পরবর্তী নিদেশনা না পাওয়া পর্যন্ত উদ্ধার অভিযান অব্যাহত থাকবে।
বৃহস্পতিবার বিকালে ১০৯ জনকে হস্তান্তর করা হয়েছে। এ তথ্যটি নিশ্চিত করেছেন টেকনাফ মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) প্রদীপ কুমার দাশ।
পুলিশ জানায়, গত মঙ্গলবার ও বুধবার সেন্টমার্টিন থেকে ট্রলার ডুবির ঘটনায় ৪ দালালসহ জীবিত উদ্ধার করা ৭৩ জনকে। এরমধ্যে ৪ জন দালালকে গ্রেফতার করা হয়। ওইদিন ট্রলার ডুবিতে নিহত ১৫জনের লাশ উদ্ধার করা হয়েছে। ওই ট্রলারে মাঝিমাল্লাসহ ১৩৮জন নারী, পুরুষ ও শিশু ছিল। সে অনুপাতে এখনো ৫০জন নিখোঁজ রয়েছেন।
অন্যদিকে, একইদিন টেকনাফের সমুদ্র সৈকত এলাকা থেকে পুলিশ অভিযান চালিয়ে আরও ৪জন দালালসহ ৪৪জন যাত্রীকে উদ্ধার করেছে। এরমধ্যে ৪জন দালালকে গ্রেফতার করা হয়। ট্রলার ডুবির ঘটনায় ৮ দালালকে বুধবার সন্ধ্যায় টেকনাফ ম্যাজিস্ট্রেট আদালতের বিজ্ঞ বিচারিক হাকিম হেলাল উদ্দিনের আদালতে হাজির করা হলে তিনি ৮ দালালকে কারাগারে ও উদ্ধার হওয়া ১০৯ যাত্রীকে স্ব-স্ব অভিভাবকের কাছে হস্তান্তর করার নির্দেশ দিয়েছেন।
সেন্টমার্টিনে ট্রলার ডুবির ঘটনায় কোস্টগার্ড সেন্টমার্টিন স্টেশনের কন্টিজেন্ট কমান্ডার (পিআরও) এমএস ইসলাম বাদী হয়ে মঙ্গলবার রাতে ১৯ জনের নাম উল্লেখসহ অজ্ঞাত ৮জনের নামে মামলা করা হয়। ওই মামলায় গ্রেফতার ৮ দালালের মধ্যে ২জন রোহিঙ্গা নাগরিক এবং ৬জন বাংলাদেশি নাগরিক রয়েছে বলে পুলিশ জানিয়েছেন।
কোস্টগার্ড সেন্টমার্টিন স্টেশন কমান্ডার লেফটেন্যান্ট নাইম উল হক বলেন, ট্রলার ডুবির ঘটনায় নিখোঁজদের সন্ধানে কোস্টগার্ড ও নৌবাহিনীর জাহাজ এবং ট্রলারের সহযোগিতায় উদ্ধারের জন্য টহল চলমান রয়েছে।
বিডি-প্রতিদিন/সালাহ উদ্দীন