টেক্সাস স্টেটের কার কাউন্টিতে গুয়াডালোপ নদীতে আকস্মিক ভয়ংকর বন্যায় ২৪ জনের মৃত্যু হয়েছে। পাশাপাশি গ্রীষ্মকালীন ক্যাম্পে থাকা প্রায় ২০ শিশুসহ আরও অনেকে নিখোঁজ রয়েছেন।
টেক্সাসের লেফটেন্যান্ট গভর্নর ড্যান প্যাট্রিক এক সংবাদ সম্মেলনে জানান, মাত্র ৪৫ মিনিটের মধ্যে গুয়াদালুপে নদীর পানি ২৬ ফুট (৭.৯ মিটার) বেড়ে ‘বিধ্বংসী বন্যা’ দেখা দেয়। বন্যা কবলিত এলাকায় ব্যাপক অনুসন্ধান চলছে, যাতে ১৪টি হেলিকপ্টার, ১২টি ড্রোন, নয়টি উদ্ধারকারী দল এবং ভূখন্ডে থাকা পাঁচশ কর্মী অংশ নিচ্ছেন। তবে প্রবল বর্ষণ অব্যাহত থাকায় ক্ষয়-ক্ষতি নিয়ন্ত্রণে আনা সম্ভব হচ্ছে না।
উদ্ধার কাজে নিয়োজিত টেক্সাস সন্যাশনাল গার্ডের অধিকর্তা মেজর মেজর জেনারেল থমাস এম শুয়েলজার শুক্রবার দিবাগত রাতে গণমাধ্যমকে জানান, পানিবন্দি ২৩৭ জনকে উদ্ধার করা হয়েছে। এরমধ্যে ১৬৭ জনকে উদ্ধার করা হয় হেলিকপ্টারে।
গত চার দশকের মধ্যে এ এলাকায় এমন ভয়ংকর বন্যা এটাই প্রথম। বেশ কয়েক সপ্তাহ যাবত টানা বর্ষণে জমে থাকা পানির ঢল হঠাৎ করে জনপদে নামতে শুরু করায় জলোচ্ছ্বাসের মত পরিস্থিতি তৈরী হয়েছে বলে জাতীয় আবহাওয়া দফতর উল্লেখ করেছে। এই দফতর আরো জানায়, এমন প্রাণঘাতি বন্যার পূর্বাভাস দেয়ার মত কোনো কারিগরি প্রযুক্তি এ এলাকায় নেই।
লেফটেন্যান্ট গভর্নর প্যাট্রিক জানান, শুক্রবার সকালে শুরু হওয়া এ উদ্ধার কার্যক্রম বিরতিহীনভাবে সারারাত ধরে চলছে। প্যাট্রিক বলেন, মৃতের নিশ্চিত সংখ্যা আগামী কয়েক ঘণ্টায় বাড়তে পারে। কারণ, অনেক এলাকার সাথে যোগাযোগ ব্যবস্থা চালু করা সম্ভব হয়নি। এছাড়া, স্বাধীনতার দিবসের এই উইকেন্ডে অনেক মানুষ এলাকা পরিভ্রমণ করছিলেন-তারা কেউ নিরাপদে আছেন বলে অনুমান করা যাচ্ছে না।
টেক্সাসের মধ্যাঞ্চলের অনেক সড়ক বর্তমানে চলাচলের অনুপযোগী হয়ে পড়েছে। তাতে গ্রীষ্মকালীন ক্যাম্পের শিশুদের সঙ্গে বাবা-মার সম্মিলন বিলম্ব হচ্ছে। উল্লেখ্য, ১৯২৬ সালে প্রতিষ্ঠিত ক্যাম্প মিস্টিক একটি বেসরকারি খ্রিস্টান গ্রীষ্মকালীন ক্যাম্প, যা কেবল মেয়েদের জন্য। এটি কারভিল শহর থেকে ১৮ মাইল উত্তর-পশ্চিমে অবস্থিত। উপদ্রুত এলাকায় ২৬ শতাধিক গ্রাহকের বিদু্যুৎ সংযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়েছে।
বিডি প্রতিদিন/হিমেল