করোনাভাইরাসের সংকটকালিন সময়ে অস্বচ্ছল মানুষের জন্য পরিষ্কার পরিচ্ছন্নতায় ‘ফ্রি’তে বিভিন্ন উপকরণ দেয়া হচ্ছে নীলফামারীতে। ইতোমধ্যে নাম পরিচয়হীন ব্যক্তি সংগঠনের এই উদ্যোগ বেশ প্রশংসিত হয়েছে।
গত এক সপ্তাহ থেকে জেলা শহরের বিভিন্ন স্থানে এই উপকরণের পসরা বসিয়ে রাখা হচ্ছে ভ্রাম্যমাণভাবে। সেখানে টিস্যু, সাবান, পাউডার, স্যানিটাইজার, মাস্ক, টুথপেষ্ট বিভিন্ন উপকরণ শোভা পাচ্ছে।
শনিবার সকালে শহরের হাজী মহসিন সড়কের মকবুল হোসেন মার্কেট প্রাঙ্গণে দেখা মিলে এই ভ্রাম্যমাণ দোকানের। মালিকবিহীন এই দোকানে সাজানো রয়েছে নানা উপকরণ।‘অস্বচ্ছল মানুষদের জন্য ফ্রি’ প্রয়োজনের বেশি নিবেন না’ ব্যানারে সজ্জিত রয়েছে এসব পণ্য। ফ্রিতে নিতে আসা ভ্যানচালক ইয়াসিন আলী জানান, আমরা গরীব মানুষ। যতটুকু উপার্জন করি সংসারের খরচ চালাতে হিমশিম খেতে হয়। আর বাড়তি কোনো দিকে মনোযোগ দেওয়া হয় না। করোনার কারণে পরিষ্কার পরিচ্ছন্নতার জন্য হুইল পাউডার, সাবান, টিস্যু নিলাম উপকারে আসবে। এই সেবার জন্য যারা উদ্যোগ নিয়েছেন তাদের ধন্যবাদ জানাই।
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, বড় বাজার, গাছবাড়ি, চৌরঙ্গি মোড়, বঙ্গবন্ধু চত্বর, পিটিআই মোড়, আনন্দবাবুর পুলসহ বিভিন্ন পয়েন্টে একেক দিন রাখা হয় এই পরিষ্কার পরিচ্ছন্নতার উপকরণ সমাহার।
এদিকে শহরের ঔষুধ, মুদি দোকানগুলোতে আগত ক্রেতাদের নিরাপদ দূরত্ব বজায় রাখতে চিহিৃত করে দেওয়া হচ্ছে। আর এসব করে দিচ্ছেন স্থানীয় কিছু যুবক।
জাতীয় রবীন্দ্র সঙ্গিত সম্মিলন পরিষদের সাধারণ সম্পাদক রাসেল আমিন স্বপন জানান, একজনের সংস্পর্শে আরেকজন আক্রান্ত হতে পারেন করোনার কারণে। এজন্য দোকানগুলোতে আসা ক্রেতাদের নিরাপদ দুরত্ব বজায় রাখতে আমরা নির্দিষ্ট সীমা রেখা করে দিচ্ছি।
সংকটের এই সময়ে পাশে দাঁড়ানো সবার কর্তব্য বলে মনে করেন সচেতন নাগরিক কমিটি (সনাক) নীলফামারীর সভাপতি তাহমিন হক ববি। তিনি বলেন, এখনই সময় মানুষের পাশে দাড়াঁনোর সময় বিশেষ করে অস্বচ্চল মানুষ যারা দিন আনে দিন খায় তাদের সব রকম সামর্থ থাকে না। তিন বেলা খাওয়ার পাশাপাশি দৈনন্দিন চাহিদা মেটানোয় কষ্টকর হয়ে দাঁড়ায়। এখন আমরা যদি তাদের যদি পাশে দাঁড়াতে পারি তাহলে পরিষ্কার পরিচ্ছন্নতার বিষয়টি নিশ্চিত করতে পারবো। ফ্রিতে উপকরণ বিতরণ নিঃসন্দেহে মহৎ উদ্যোগ।
বিডি প্রতিদিন/হিমেল