গাজীপুরের শ্রীপুরে কফিল উদ্দিন (৪৫) নামে মাটি কাটার এক শ্রমিক সর্দি-জ্বর নিয়ে মারা গেছেন। শুক্রবার রাত ৮টায় তিনি নিজ বাড়িতেই মারা যান।
মৃত কফিল উদ্দিন উপজেলার গাজীপুর ইউনিয়নের নগর হাওলা গ্রামের মৃত ইয়াছিন উদ্দিনের ছেলে।
নিহতের চাচাতো ভাই মফিজ উদ্দিন জানান, কফিল সড়কে মাটি কাটার কাজ করতেন। দেশে করোনার প্রাদুর্ভাব থাকায় রাতে মাটি কাটার কাজে যান। গত ৫/৬ দিন আগে কাজ শেষে রাত ৩টার দিকে বাড়ি আসেন। তখন জানতে পারি কাজ শেষে আসার পথে জঙ্গলে হঠাৎ ভয় পান কফিল। এরপর তিনি আর কাজে যাননি, বাড়িতেই অবস্থান করেন। বাড়িতে থেকেই কবিরাজি চিকিৎসা ও স্থানীয় ফার্মেসী থেকে ওষুধ এনে খান। শুক্রবার (১০ এপ্রিল) সন্ধ্যার আগ মূহুর্তে তিনি অসুস্থ হয়ে যান। পরে রাত ৮টা ১মিনিটে মারা যান। তবে তার কোনো জ্বর, শর্দি, ঠান্ডা-কাশি ছিল না বলে তিনি জানান।
স্থানীয়রা বলছে কফিল উদ্দিন দীর্ঘদিন যাবত ঠান্ডা-জ্বরে ভুগছিলেন। দেশব্যাপী করোনা প্রাদুর্ভাবের কারণে বাড়ির বাহিরে চিকিৎসা নিতে যাননি।
গাজীপুর ইউনিয়নের ৪নং ওয়ার্ডের মেম্বার আব্দুল আজিজ জানান, কফিল উদ্দিন জ্বর, শর্দি, ঠান্ডা-কাশি ছিল না। রাতে কাজ শেষে বাড়ি যাওয়ার পথে তিনি ভয় পেয়েছেন। সেই ভয় থেকে টেনশনে তার মৃত্যু হতে পারে।
শ্রীপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. প্রণয় ভূষন দাস জানান, এলাকাবাসীর মাধ্যমে খবর পেয়ে রাতেই ওই মৃত ব্যক্তির বাড়িতে গিয়ে তার নমুনা সংগ্রহ করে ঢাকার রোগতত্ত্ব, রোগ নিয়ন্ত্রণ ও গবেষণা প্রতিষ্ঠানে (আইইডিসিআর) পাঠানো হয়েছে। পাশাপশি পরিবারের সদস্যদের শতভাগ হোম কোয়ারেন্টাইনে থাকার পরামর্শ দেওয়া হয়েছে।
বিডি প্রতিদিন/এনায়েত করিম