লকডাউন ও আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর কঠোর নজরদারির পরও বাহির থেকে কিশোরগঞ্জে আসা মানুষের স্রোত থেমে নেই। বিশেষ করে ঢাকা, নারায়ণগঞ্জ ও গাজীপুর থেকেই বেশি আসছে। তারা অবাধে চলাফেরা করায় বাড়ছে করোনা ভাইরাসের ঝুঁকি।
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, কিশোরগঞ্জের হাওর এলাকায় বিশেষ করে ইটনা, মিঠামইন ও অষ্টগ্রামের অনেক দরিদ্র মানুষ ঢাকার কেরাণীগঞ্জ, নারায়ণগঞ্জ, গাজীপুরসহ দেশের বিভিন্ন স্থানে কাজ করেন। করোনাভাইরাসের প্রভাবে এখন তাদের কর্ম এলাকাগুলোতে চলছে লকডাউন। এ অবস্থায় কর্মহীন হয়ে পড়েছেন তারা।
ইটনা উপজেলার ছিলনি গ্রামের রাকিবুল হাসান রোকেল জানান, গত কয়েকদিনে হাওরে কয়েক হাজার মানুষ সেসব এলাকা থেকে ঢুকেছে। শুধু তার নিজ গ্রামেই অন্তত ৪০ জন এসেছে বলে তিনি জানান।
তিনি আরও জানান, বাহির থেকে এসে তারা অবাধে ঘুরাফেরা করছে। তাদেরকে বোঝালেও শুনছে না। প্রশাসনের লোকজন এলে তারা ঘরে ঢুকে যায়, চলে যাবার পর যেই, সেই। কটিয়াদী উপজেলায়ও এমন পরিস্থিতি হচ্ছে বলে জানিয়েছেন অনেকেই।
তাড়াইল উপজেলার বিশিষ্ট সাংস্কৃতিক সংগঠক ছাদেকুর রহমান রতন জানান, তাড়াইল থেকে একটি বাস কয়েকদিন ধরে রাতের বেলায় উধাও হয়ে যেতো। কিন্তু দিনের বেলায় পরিত্যক্ত অবস্থায় পড়ে থাকতো বাসটি। খোঁজ নিয়ে তিনি জানতে পারেন যে, এ বাসে করেই ঢাকা, নারায়ণগঞ্জ ও গাজীপুর এলাকা থেকে লোকজনকে নিয়ে আসা হতো। পুলিশ এ খবর জানতে পেরে আজ বাসের চাকা ফুটো করে দেয়। তবে চালক ও হেলপার পালিয়ে যায়। বাসটি বর্তমানে তাড়াইলের কালনা এলাকায় রয়েছে।
এসব বিষয়ে কিশোরগঞ্জের পুলিশ সুপার মাশরুকুর রহমান খালেদ বলেন, ওয়ার্ড ও ইউনিয়ন পর্যায়ে এ সংক্রান্ত কমিটি রয়েছে, তারাই বিষয়টা তদারকি করার কথা। আইনশৃঙ্খলা সংক্রান্ত বিষয়গুলো পুলিশ দেখবে। করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হলে মৃত্যু হতে পারে, সেটা অনুধাবন করতে হবে মানুষকে। এক্ষেত্রে সকলকে সচেতন হওয়ার আহ্বান জানান তিনি।
বিডি প্রতিদিন/এনায়েত করিম