বরিশাল সদর উপজেলার শায়েস্তাবাদ ইউনিয়নের কোদালিয়া এলাকায় হামীম (৩) নামে এক শিশুকে হত্যার পর পুকুরের কচুরিপানার নীচে তার মরদেহ লুকিয়ে রাখার অভিযোগ উঠেছে। এ ঘটনায় প্রতিবেশী এক গৃহবধূকে আটক করেছে পুলিশ। নিহত হামীম ওই এলাকার সালাম কবিরাজের ছেলে। আটক গৃহবধূ জাকিয়া বেগম প্রতিবেশী মো. এনায়েতের স্ত্রী।
এ ঘটনায় বৃহস্পতিবার রাতে নিহতের দাদা আলতাফ কবিরাজ বাদী বরিশাল মেট্রোপলিটনের কাউনিয়া থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন। ওই মামলায় জাকিয়াকে গ্রেফতার দেখিয়ে শুক্রবার দুপুরে আদালতের মাধ্যমে কারাগারে প্রেরন করা হয়।
নিহতের চাচা আবুল বাশার বলেন, বৃহষ্পতিবার দুপুর ১টার পর থেকে হামীমের কোন সন্ধান পাওয়া যাচ্ছিলো না। পরে তার খোঁজে আশপাশের বেশ কয়েকটি পুকুর ও নদীতে খোঁজাখুঁজি করা হয়। না পেয়ে হামীমের খেলার সাথী জাকিয়ার ৪ বছর ছেলেকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়। জাকিয়ার ছেলে জানায় হামীমকে তার মা মারধর করে বাড়ির পাশের পুকুরে চুবিয়েছে। ওই শিশুর দেয়া তথ্যানুযায়ী সেই পুকুরে সন্ধান চালিয়ে ওইদিন বিকেলে হামীমের মরদেহ কচুরিপানার নীচ থেকে উদ্ধার করা হয়।
নিহতের ফুফু শিউলি বেগম জানান, জাকিয়ার ছেলে খেলা করতে হামীমদের বাড়ি যেত। এ জন্য জাকিয়া রাগারাগিও করে। গত পরশু হামীমের বাবা জাকিয়ার ছেলেকে তাদের বাড়িতে না যেতে দিতে বলে।
কাউনিয়া থানার ওসি আজিম-উল করিম জানান, এ ঘটনায় দায়েরকৃত মামলায় জাকিয়াকে গ্রেফতার দেখিয়ে আদালতের মাধ্যমে কারাগারে প্রেরন করা হয়েছে।
বিডি প্রতিদিন/এ মজুমদার