নেত্রকোনায় পুলিশ লাইনে ঢুকতে গেলে ডিজিটাল পদ্ধতিতেই জীবাণুনাশক স্প্রে করা হয়। যার জন্য আলাদা জনবলের প্রয়োজন হয় না। এতে করে সময়ও বাঁচছে।
সারা বিশ্বে করোনায় মহামারীতে মানুষের মাঝে উদ্বেগ উৎকণ্ঠার সময় এমন একটি স্বয়ংক্রিয় জীবাণুনাশক “ডিজিটাল বায়ু সিকিউরিটি গেইট” নির্মাণ করে তাক লাগিয়ে দিয়েছেন নেত্রকোনার এক যুবক।
মাত্র ১৮ হাজার টাকায় ডিজিটাল এই বায়ু সিকিউরিটি গেইটের উদ্ভাবন করেন মো. আতিকুল ইসলাম শরীফ (বিএসসি)। এর আগেও তিনি নিজস্ব প্রযুক্তিতে ই-বাইক উদ্ভাবন করেছেন।
শরীফ জানান, সেন্সরের মাধ্যমে জীবাণুনাশক স্প্রে হয়। একজন মানুষ গেইটে প্রবেশ করা মাত্রই সেই সেন্সরটি তাকে চিনে নেয়। এতে ব্যক্তি নিজেই জীবানুমুক্ত হতে পারেন। এতে সময় যেমন বাঁচে তেমনি এই কাজে কাউকে বসে থাকতেও হয় না। প্রতিটি দপ্তর ইচ্ছে করলেই এই ব্যবস্থা করতে পারে।
এ ব্যাপারে পুলিশ সুপার মো. আকবর আলী মুনসী জানান, পুলিশ লাইনে সারাদিনই চলাচল অব্যাহত থাকে। সে জন্য বেশি প্রয়োজন এখানে জীবাণুনাশক স্প্রে করা। কারণ পুলিশ যত্রতত্র ডিউটি করে। শুধু করোনা ডিউটি নয়। সকল কিছুতেই পুলিশকে দৌড়াদৌড়ি করতে হয়। সেই জন্য তাদের নিরাপত্তাটাও জোরদার করা আগে জরুরি। কাজেই এই পদ্ধতিতে সময় বেঁচে যাওয়াটা অনেক বড় ব্যাপার। পাশাপাশি আমার একজন সদস্য অন্য কাজে যেতে পারছে। এখানেই সে আটকে থাকছে না।
বিডি প্রতিদিন/ফারজানা