ফেনীর সোনাগাজীতে সৎ মামা ও তার সহযোগীদের বিরুদ্ধে এক গৃহবধূকে (১৯) গণধর্ষণের অভিযোগ পাওয়া গেছে। এ ঘটনায় শুক্রবার দুপুরে গৃহবধূ নিজে বাদী হয়ে সোনাগাজী মডেল থানায় মামাসহ তিনজনের নাম উল্লেখ করে নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে মামলা করেছেন।
পুলিশ শুক্রবার রাতেই চরচান্দিয়া ইউনিয়নের দক্ষিণ চরচান্দিয়া গ্রাম থেকে অভিযুক্ত হারুন ও অপর ধর্ষক মাসুদকে গ্রেফতার করেছে।
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্র জানায়, ধর্ষণের শিকার ওই নারী নোয়াখালীর কোম্পানীগঞ্জ উপজেলার বাসিন্দা। কয়েকদিন আগে স্বামীর সঙ্গে তার ঝগড়া হয়। এরপর ওই নারীকে তার স্বামী সোনাগাজী উপজেলায় তার নানা বাড়িতে রেখে যান। ওই নারীর সৎ মামা মো. হারুন ও তার শ্বশুর বাড়ি কোম্পানীগঞ্জের একই এলাকায়।
বিষয়টি জানতে পেরে গত ২৪ এপ্রিল বিকেলে হারুন বিরোধ মীমাংসা করে দিবে বলে ভাগ্নিকে নিয়ে নানা বাড়ি থেকে কোম্পানীগঞ্জের উদ্দেশে রওয়ানা দেন। কিন্তু সন্ধ্যা হয়ে যাওয়ায় হারুন তার শ্বশুর বাড়িতে ওই নারীকে রেখে দেন। হারুনের শ্বশুর বাড়িতে দুই দিন থাকার পর ২৬ এপ্রিল সন্ধ্যায় মাসুম ও হৃদয় নামে দুজন লোক হারুনের শ্বশুর বাড়িতে যান।
এরপর হারুন তার ভাগ্নিকে বলেন, তার স্বামীর সঙ্গে কথা হয়েছে। তাকে ওই বাড়িতে দিয়ে আসতে তৈরি হতে বলেন। রাত আটটার দিকে ওই নারীকে নিয়ে হারুনসহ তিনজন অটোরিকশায় করে রওনা হয়। কিছু দূর যাওয়ার পর তারা ওড়না দিয়ে ওই নারীর হাত-পা ও চোখ বেঁধে এবং মুখ চেপে ধরে সোনাগাজী উপজেলার দক্ষিণ চর চান্দিয়া এলাকার একটি পুকুর পাড়ে নিয়ে পালাক্রমে ধর্ষণ করে।
পুলিশ জানায়, মামলায় অভিযুক্তরা হলেন উপজেলার চর চান্দিয়া ইউনিয়নের দক্ষিণ চর চান্দিয়া এলাকার মো. হারুন (৩৮), মো. মাসুম (২৫) ও মো. হৃদয় (২০)। আসামিরা সবাই একই এলাকার বাসিন্দা ও পরস্পর আত্মীয়।
সোনাগাজী মডেল থানার অফিসার ইনচার্জ মোহাম্মদ সাজেদুল ইসলাম এ ঘটনায় থানায় মামলার বিষয়টি নিশ্চিত করে জানান, পুলিশ অভিযুক্ত দুইজনকে গ্রেফতার করেছ। বাকি আসামি হৃদয়কে গ্রেফতারের চেষ্টা অব্যাহত রয়েছে।
বিডি প্রতিদিন/আল আমীন