সিলেটে কর্মকর্তার অনিয়ম, দুর্নীতি ও স্বেচ্ছাচারিতার প্রতিবাদ করায় চাকরিচ্যুতির আতঙ্কে আছেন ‘মেটলাইফ ইনস্যুরেন্স কোম্পানির প্রায় অর্ধশত বীমা কর্মী। অনিয়মের বিরুদ্ধে মুখ খোলায় ইতোমধ্যে চাকরি হারিয়েছেন ‘কবির খান এজেন্সির’র দুই ইউনিট ম্যানেজার।
এর প্রতিবাদে বীমা কর্মীরা নিয়মিত আন্দোলন করে যাচ্ছেন। প্রতিবাদী বীমা কর্মীদের ব্রাঞ্চ ম্যানেজার কবির খান নানাভাবে হুমকি-ধমকি দিয়ে যাচ্ছেন বলেও অভিযোগ রয়েছে।
আন্দোলনকারীরা জানান, ২০০৩ সালে সিলেট নগরীর বারুতখানায় ‘মেটলাইফ ইনস্যুরেন্স কোম্পানির’ এজেন্সি খুলেন কবির উদ্দিন খান। নিজের নামে এজেন্সি খুলেই কোম্পানির পলিসি বিরোধী কর্মকাণ্ডে জড়ান তিনি। কোম্পানির সেক্রেটারিদের দিয়ে বিধিবর্হিভূতভাবে তিনি গ্রাহক পলিসির কাজে নিয়োজিত করান। সার্টিফিকেট জাল করে নিয়োগ দেন ফিনান্সিয়াল এসোসিয়েট (এফএ)।
কোম্পানির অফার গোপন করে গ্রাহকদের মিথ্যা প্রলোভন দিয়ে পলিসি করান কবির খান। পরবর্তীতে এ নিয়ে কোম্পানির এফএ ও ইউনিট ম্যানেজারদের সাথে গ্রাহকদের ভুল বোঝাবুঝির সৃষ্টি হলে এর দায় নিতে অস্বীকৃতি জানান কবির খান। তার এসব অনিয়মের কারণে ইতোমধ্যে স্বেচ্ছায় অনেকে মেটলাইফ থেকে চাকরি ছেড়ে চলে গেছেন।
তার এসব অনিয়মের প্রতিবাদ করলে ঢাকাস্থ প্রধান অফিসের কর্মকর্তাদের ভুল বুঝিয়ে প্রতিবাদী কর্মীদের চাকরিচ্যুত করেন বলেও অভিযোগ রয়েছে। তার দুর্নীতির বিরুদ্ধে মুখ খোলায় অতি সম্প্রতি চাকরি হারাতে হয়েছে ইউনিট ম্যানেজার অজিত কুমার ভট্টাচার্য্য ও বিনয় ভূষণ দে’কে।
শুধু চাকরিচ্যুতি করেই ক্ষান্ত হননি কবির খান। অজিত ও বিনয়কে মুখ না খুলতে নানাভাবে প্রাণনাশের হুমকি দিয়ে যাচ্ছেন তিনি। এমন অভিযোগ এনে অজিত ও বিনয় সিলেট কোতোয়ালী থানায় তিনটি জিডি করেছেন। তার অনিয়মের প্রতিবাদে গত ৩১ আগস্ট থেকে ১৪ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত প্রায় অর্ধশত ইউনিট ম্যানেজার ও এফএ কর্মবিরতি পালন করেন। ১৮ সেপ্টেম্বর তার বিরুদ্ধে মানববন্ধন ও ২৭ সেপ্টেম্বর জেলা প্রশাসক ও পুলিশ কমিশনার বরাবর স্মারকলিপি দেন ভুক্তভোগীরা।
আন্দোলনকারীরা জানান, প্রতিবাদের মুখে অজিত কুমার ও বিনয় ভূষণকে স্বপদে বহাল ও অন্য কোন বীমা কর্মীকে চাকরিচ্যুত না করার প্রতিশ্রুতি দিলেও পরে তা রক্ষা করেননি।
এ ব্যাপারে জানতে ‘কবির খান এজেন্সি’র ম্যানেজার কবির উদ্দিন খানের সাথে একাধিবার যোগাযোগের চেষ্টা করা হলে তিনি ফোন রিসিভ করেননি।
বিডি প্রতিদিন/আবু জাফর