গাজীপুরের কালিয়াকৈর উপজেলার ফুলবাড়িয়া এলাকায় নবম শ্রেনীর ছাত্রীকে বিয়ের প্রস্তাবে রাজি না হওয়ায় তাকে তুলে নিয়ে ধর্ষণ করার অভিযোগ উঠেছে আতিকুল ইসলাম আতিক (২২) নামে এক বখাটের বিরোদ্ধে। ওই ঘটনায় আজ সোমবার সকালে ওই ছাত্রীর মা বাদি হয়ে কালিয়াকৈর থানায় একটি মামলা দায়ের করেন।
পরিবার ও পুলিশ সূত্রে জানা যায়, উপজেলার ফুলবাড়িয়া এলাকার নবম শ্রেনীর ওই ছাত্রীকে বিয়ের প্রস্তাব দেয় আতিকুল। সেই প্রস্তাবে রাজি না হওয়ায় আতিকুল ইসলাম আতিক নামে ওই বখাটে বিভিন্ন সময় মেয়ের বাবাকে মোবাইল ফোনে হুমকি প্রদান করেন। গত ২ জুন সকালে প্রাইভেট পড়ার উদ্দেশে বাড়ি থেকে রওনা হয় ওই মেয়ে। বাড়ির পাশে উৎপেতে থাকা আতিক, আসিফ, আজাহার ওই মেয়ে স্কুলের কাছে পৌঁছালে তার মুখ চেপে ধরে একটি মাইক্রোবাসে অপহরণ করে তুলে নিয়ে চলে যায়। আতিকের বাড়িতে নিয়ে মেয়েকে জোরপূর্বক সাদা কাগজে সই নেয়। পড়ে এলাকায় সবার কাছে অপপ্রচার চালায় মেয়ের সাথে আমার বিয়ে হয়ে গেছে। পরে ওই মেয়েকে জোরপূর্বক দাম্পত্য জীবনযাপন করতে বাধ্য করেন।
ওই ছাত্রীর মা-বাবা তার মেয়েকে ওই ছেলের বাড়িতে থেকে আনতে গেলে ছেলে আতিকুল তাদেরকে বলে আপনার মেয়ের সাথে আমার বিয়ে হয়েছে। মা-বাবা মেয়ের সাথে দেখা করতে চাইলে আতিকুল তাদের সাথে দেখা না করিয়ে তাদেরকে বাড়িতে ফেরত পাঠিয়ে দেন।
গত ৪ অক্টোবর আতিকুল, আজাহার, আসিফ এই তিনজন মিলে ওই মেয়েকে মারধর করে আতিকুলের বাড়ি থেকে বেরকরে দেয়। মেয়ের বাবা মোকদম আলী বিষয়টি এলাকার গণ্যমান্য ব্যক্তিদের জানালে ওই বখাটে ছেলেকে নিয়ে বিচারে বসলে তারা কোন বিয়ের কাবিননামা দেখাতে পারেনি। এ থেকে বোঝা যায় যে, গত তিন মাস ধরে ওই মেয়েকে ধর্ষণ করে আসছে আতিকুল।
ওই ঘটনায় আজ সোমবার সকালে মেয়ের মা বাদী হয়ে কালিয়াকৈর থানায় একটি মামলা দায়ের করেন। মামলার প্রেক্ষিতে আতিকুলকে গ্রেফতার করা হয়েছে। দুপুরে আসামি আতিকুলকে গাজীপুর জেলহাজতে প্রেরণ করেন।
কালিয়াকৈর থানা অধীনস্ত ফুলবাড়িয়া ফাঁড়ির ইনচার্জ মোঃ আজাহারুল ইসলাম জানান, ধর্ষণের মামলার ভিত্তিতে আসামি আতিকুল ইসলাম আতিককে গ্রেফতার করে গাজীপুর জেলহাজতে প্রেরণ করা হয়েছে।
বিডি-প্রতিদিন/আব্দুল্লাহ