ব্রাহ্মণবাড়িয়ার সরাইলে আশ্রয়ণ-২ প্রকল্পে অনিয়মের অভিযোগে টাস্কফোর্সের সভা বর্জন করেছে উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান রফিক উদ্দিন ঠাকুর ও সদর ইউপি চেয়ারম্যান আব্দুল জব্বার।
এছাড়া সভায় অনুপস্থিত ছিলেন আরো ৬ ইউপি চেয়ারম্যান। উপস্থিত হননি টাস্কফোর্সের প্রধান উপদেষ্টা নির্বাচিত এমপি উকিল আব্দুস সাত্তার ভূঁইয়া।
সোমবার সকালে সরাইল উপজেলা পরিষদ মিলনায়তনে অনুষ্ঠিত সভায় এ ঘটনা ঘটেছে।
প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তার কার্যালয় সূত্রে জানা যায়, মুজিব শতবর্ষ উপলক্ষে দেশের সকল ভূমিহীন গৃহহীনদের গৃহ প্রদানই এ প্রকল্পের লক্ষ্য। এ প্রকল্পের আওতায় সরাইলে মোট ১০২টি গৃহ নির্মাণ হবে। এর মধ্যে ২০ জন গৃহহীনকে জায়গাসহ ঘর করে দেওয়া হবে।
কাজটি সুষ্ঠুভাবে বাস্তবায়নের জন্যে নির্বাচিত এমপিকে বা সরকার নির্ধারিত ব্যক্তিকে প্রধান উপদেষ্টা, উপজেলা চেয়ারম্যানকে উপদেষ্টা, নির্বাহী কর্মকর্তাকে সভাপতি ও সহকারী কমিশনারকে (ভূমি) সদস্য সচিব করে ৩১ সদস্যের একটি টাস্কফোর্স কমিটি গঠন করা হয়েছে। এর মধ্যে ৯ জন ইউপি চেয়ারম্যান ও সরকারি দফতরের ১৬ জন কর্মকর্তাও রয়েছেন।
সোমবার বেলা সাড়ে ১১টার দিকে উপজেলা পরিষদ মিলনায়তনে টাস্কফোর্স কমিটির সভা শুরু হয়। কিন্তু তালিকার অনিয়মের অভিযোগ করে সভা বর্জন করেন উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান, উপজেলা আওয়ামী লীগের সাবেক সম্পাদক রফিক উদ্দিন ঠাকুর ও সদর ইউপি চেয়ারম্যান আব্দুল জব্বার।
তাদের অভিযোগ তালিকায় ৮০ ভাগ বিএনপির লোকদের অন্তর্ভূক্ত করা হয়েছে। আমাদের সাথে তালিকার বিষয়ে কোনো ধরনের সমন্বয় করা হয়নি।
প্রকল্পের উপদেষ্টা ও উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান সভা বর্জনের কথা স্বীকার করে বলেন, আমার সাথে কেউ কোনো সমন্বয় করেনি। তাদের মনগড়া বিএনপির লোকজন দিয়ে করা অবৈধ এ তালিকাকে আমরা বৈধতা দিতে পারি না। তাই সভা বর্জন করেছি।
সরাইল উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ও টাস্কফোর্স কমিটির সভাপতি এ এস এম মোসা বলেন, উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান সভায় আসেননি। গত ৫-৬ বছর সময় ধরে সংশ্লিষ্ট সরকারি লোকজন সকলের সহযোগিতায় এ তালিকা করে আসছে।
বর্তমানে ২০টি গৃহের অনুমোদন আসছে। নিচু জায়গা হলে চলবে না। জায়গা পাচ্ছি না। শুধু নোয়াগাঁও ইউনিয়নের আইরলে ৭টি ঘর করার জায়গা পাওয়া গেছে। সমাজের বিত্তবান লোকজন প্রকল্প বাস্তবায়নের জন্য জায়গা দান করতে পারেন বলেও জানান তিনি।
বিডি প্রতিদিন/এমআই