গাজীপুরের কাশিমপুরে এক শিশুকে ধর্ষণের পর গলাটিপে হত্যা করার পর বালির নিচে চাপা দেওয়া হয়। এ ঘটনার প্রায় তিন মাস পর দুই কিশোরকে গ্রেফতার করেছে গাজীপুর পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন (পিবিআই)।
আজ সোমবার বিকেলে গাজীপুর পিবিআইয়ের কার্যালয়ে এক প্রেস ব্রিফিংএ এ তথ্য জানান পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন (পিবিআই) পুলিশ সুপার মোহাম্মদ মাকছুদের রহমান। গ্রেফতারকৃতরা হলেন- যশোরের ঝিকরগাছা থানার কুন্দিপুর এলাকার মোঃ আব্দুল করিমের ছেলে মোঃ রাসেল ওরফে রাহুল (১৪) ও গাজীপুর মহানগরীর কাশিমপুর থানার বাগবাড়ি এলাকার নছিব সিকদারের ছেলে সবুজ মিয়া (১৪)।
পিবিআইয়ের পুলিশ সুপার বলেন, গত ২৯ অক্টোবর গাজীপুর মহানগরীর কাশিমপুর বাগবাড়ী এলাকার ক্যাপ ফ্যাক্টরীর পশ্চিম পার্শ্বে মোঃ কফিল উদ্দিনের নির্মাণাধীন পরিত্যাক্ত বিল্ডিংয়ের বালির নিচ থেকে অজ্ঞাতনামা পাঁচ বছরের কন্যা শিশুর মাথার খুলি, ১৯টি হাড়, চামড়া ও একটি হাফপ্যান্ট উদ্ধার করা হয়। পরে শিশুটি ওই এলাকার মনোয়ারের বাড়ির ভাড়াটিয়া মোঃ রফিকুল ইসলামের মেয়ে রিয়া মনি বলে পরিচয় নিশ্চিত করা হয়। শিশু নিখোঁজের ঘটনায় জিএমপির কাশিমপুর থানায় সাধারণ ডায়েরী করেন শিশুটির মা। শিশুর লাশ উদ্ধারের পর এ ঘটনায় গত ৩০ অক্টোবর কাশিমপুর থানার এস আই কামরুজ্জামান বাদী হয়ে অজ্ঞাতনামা আসামি করে ওই থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন। শিশুটির মা-বাবা স্থানীয় পোশাক কারখানায় চাকরি করতেন।
তিনি জানান, মামলাটি গাজীপুর পিবিআইয়ের হাতে ন্যস্ত হলে গতকাল রবিবার (২ নভেম্বর) রাতে যশোর জেলার ঝিকরগাছা থানাধীন কুন্দিপুর নিজ বাড়ি থেকে ঘটনার সাথে জড়িত কিশোর মোঃ রাসেল ওরফে মোঃ রাহুল (১৪)-কে গ্রেফতার করা হয়। পরে তার দেয়া স্বীকারোক্তিতে রাসেলের বন্ধু সবুজ মিয়া (১৪)-কে তার বাড়ি কাশিমপুর বাগবাড়ি থেকে গ্রেফতার করা হয়।
তিনি বলেন, পিবিআই পুলিশের প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে গ্রেফতারকৃতরা ঘটনার সঙ্গে জড়িত থাকার কথা স্বীকার করে। তারা জানায় দুইজন মিলে শিশুটিকে বিভিন্ন সময় চকলেট ও বিস্কুট কিনে দিতো। ঘটনার দিন গত ৯ আগস্ট সকালে তারা দু’জনে মিলে রাসেলের ঘরের মধ্যে শিশুটিকে ধর্ষণ করে। ঘটনাটি বাবা-মাকে বলে দেয়ার কথা শিশুটি বললে রাসেল ও সবুজ মিয়া মিলে তাকে গলাটিপে হত্যা করে লাশ বালির নিচে চাপা দিয়ে রেখে দেয়।
বিডি-প্রতিদিন/আব্দুল্লাহ