শিরোনাম
- ‘খালেদা জিয়ার আপসহীন নেতৃত্বের কারণেই বারবার গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠা লাভ করেছে’
- চুয়াডাঙ্গায় আট দফা দাবিতে নার্সদের স্মারকলিপি প্রদান
- সীমান্তে তারকাঁটার বেড়া কর্তনের সময় গরু চোরাকারবারী আটক
- ঘরে বসে মেট্রোরেলের কার্ড রিচার্জ চালু হচ্ছে মঙ্গলবার
- আসন্ন নির্বাচনে কমনওয়েলথের সহায়তা চাইলেন প্রধান উপদেষ্টা
- যে কারণে 'ভ্যাম্পায়ার' দাঁতে আগ্রহ বাড়ছে তরুণীদের
- অবশেষে চলেই গেলেন কিংবদন্তী অভিনেতা ধর্মেন্দ্র, ভারতীয় গণমাধ্যমের দাবি
- প্রধান উপদেষ্টা সুষ্ঠু নির্বাচন করতে পারবেন, বিশ্বাস বিএনপির: রিজভী
- মোহাম্মদপুরে অপহরণ ও নির্যাতনের মামলায় গ্রেপ্তার ৯
- সাময়িক বন্ধ হচ্ছে এনআইডি সংশোধন কার্যক্রম
- ঝিনাইদহে উদ্ধারকৃত ১৬ ককটেল ধ্বংস করল বোম্ব ডিসপোজাল ইউনিট
- জবির নারীসহ চার শিক্ষার্থীকে মারধর
- ‘আওয়ামী লীগের ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন ছিল সবার সঙ্গে প্রতারণা’
- দীর্ঘ বিরতির পর আবার আলোচনায় বিদ্যা সিনহা মিম
- ‘গণতন্ত্রের চর্চা হোক ক্লাসরুম থেকে’ স্লোগানে চবি রাজনীতি বিজ্ঞান বিভাগে সিআর নির্বাচন
- নির্বাচন ও গণভোটের বাজেট নিয়ে কোনো সমস্যা হবে না: অর্থ উপদেষ্টা
- রংপুরে মাদকবিরোধী অভিযানে গ্রেপ্তার ৭
- মালয়েশিয়ায় বন্যা: শাহ আলমের আশেপাশে বেশ কয়েকটি সড়ক বন্ধ, ভ্রমণে ঝুঁকি
- সুবিধাবঞ্চিত শিশুদের সহায়তায় গাইলেন বাপ্পা মজুমদার ও কোনাল
- বাংলাদেশি টাকায় আজকের মুদ্রা বিনিময় হার
স্বপ্ন পুড়ে ছাই
ভাঙ্গা (ফরিদপুর) প্রতিনিধি
অনলাইন ভার্সন
হতদরিদ্র পরিবারের সন্তান সিরাজুল ইসলাম(৩৫)। তার বাড়ি ফরিদপুরের নগরকান্দা উপজেলার রামনগর ইউনিয়নের কুঞ্জনগর গ্রামে। জন্ম থেকেই প্রতিবন্ধী। দুই পায়েই সমস্যা। স্বাভাবিকভাবে হাঁটতে পারে না। দুটি পা শুকিয়ে গিয়েছে। প্রতিবন্ধকতা তাকে দমাতে পারেনি। ছোটবেলা থেকেই কাজ পাগল সিরাজ নিজের শারীরিক অক্ষমতাকে পিছনে ফেলে জীবন যুদ্ধে নিজের পায়ে দাঁড়ানোর চেষ্টা করেছে। পিতা দিনমজুর হলেও সিরাজ ছোটবেলা থেকেই দর্জির দোকানের কর্মচারী হিসাবে কাজ করেছে। এক সময় তার কাজের হাত পাকা হয়েছে। একটু একটু সঞ্চয় করে নিজের বাড়ির পাশে কুঞ্জনগর বাজারে পৈতৃক জমিতে ঘর তুলে নিজেই দর্জির দোকান দিয়েছে। আয় রোজগার হচ্ছিল ভালই। একে একে পাশাপাশি ৫টি দোকান ঘর তৈরি করে সিরাজ। ৪টি দোকান ভাড়া দিয়ে ও একটি নিজে চালিয়ে মোটামুটিভাবে চলছিল তার সংসার। হঠাৎ করে গত ৩০ নভেম্বর দিবাগত রাতে অগ্নিকাণ্ডে তার ৫টি দোকানই পুড়ে যায়। তার দোকানের মেশিন পত্র, কাপড় চোপড় পুড়ে ছাই হয়ে যায়। সর্বস্ব হারিয়ে ভেঙ্গে পড়েছে সিরাজ।
সিরাজুল ইসলাম বলেন, আমার সবই শেষ। জীবিকার পথ বন্ধ। তিল তিল করে যে সম্পদ গড়ে তুলেছিলাম তা মুহূর্তেই পুড়ে ছাই হয়ে গেল।
সিরাজের প্রতিবেশি ও নগরকান্দার কৃষ্ণারডাঙ্গী উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মাসুদ মোল্লা বলেন, সিরাজ প্রতিবন্ধী হলেও সৎ ও পরিশ্রমী। এখন সে নিঃস্ব হয়ে পড়েছে। সারজীবন পরিশ্রম করে ৫টি দোকান ঘর তৈরি করেছিল। তাও পুড়ে গেল।
রামনগর ইউনিয়ন পরিষদের সদস্য ওহাব খান জানান, বাড়ির সামান্য একটু জমি আর পাশেই কুঞ্জনগর বাজারের সামান্য জমি এটাই ওর পৈতৃক সম্পদ। আর পৈতৃক সম্পদেই সিরাজ দোকান তৈরি করেছিল।
বিডি প্রতিদিন/ফারজানা
এই বিভাগের আরও খবর
সর্বশেষ খবর