শিরোনাম
- যুদ্ধ বন্ধে ট্রাম্পের ‘স্পষ্ট অবস্থান’ জানতে চান জেলেনস্কি
- কারাগারগুলোতে চলছে মাসব্যাপী মাদকবিরোধী অভিযান-ডোপ টেস্ট
- চাঁদপুর মেডিকেল কলেজে বিজ্ঞান মেলা শুরু
- সিলেটে অবৈধ সিএনজি অটোরিকশা সরাতে আল্টিমেটাম
- ভালুকায় দুর্গাপূজা উপলক্ষে প্রস্তুতি সভা
- বোয়ালমারীতে দুর্গাপূজা উপলক্ষে প্রস্তুতি সভা
- পাঁচ ব্যাংক একীভূত হওয়ার সিদ্ধান্ত চূড়ান্ত, বসছে প্রশাসক
- বিশ্বব্যাপী জলবায়ু কর্ম সপ্তাহে কলাপাড়ায় মানববন্ধন
- গাজায় গণহত্যা চলছে, দায়ী ইসরায়েল: জাতিসংঘ তদন্ত কমিশন
- সিদ্ধিরগঞ্জে আহতদের পুনর্বাসন, জুলাই যোদ্ধাকে দোকান উপহার
- ক্যান্সারে আক্রান্ত স্বাস্থ্য উপদেষ্টার বিদেশে চিকিৎসার বিষয়টি মানবিকভাবে দেখা উচিত
- নীলফামারীতে ৮৪৭টি মণ্ডপে হবে শারদীয় দুর্গাপূজা
- সিলেটে নদ-নদীর পানি বিপৎসীমার ওপরে, বন্যার আশঙ্কা
- চট্টগ্রামে মানবতার সেতুবন্ধনে হবে ‘এসএমসিএইচ সামিট’
- মিরসরাইয়ে শিক্ষার্থী হত্যার ঘটনায় গ্রেফতার বাবাসহ সৎমা
- পানছড়িতে ভূতুরে বিদ্যুৎ বিল নিয়ে উত্তেজনা
- মাগুরায় চুরির অভিযোগে গণপিটুনিতে যুবক নিহত
- বগুড়ায় যৌথবাহিনীর অভিযানে মদ ও গাঁজা উদ্ধার, আটক ২
- মালয়েশিয়ায় ভূমিধসে ১৩ জনের মৃত্যু
- তিন মাসে শেষ হবে ঢাকা-সিলেট মহাসড়কের ভূমি অধিগ্রহণ
স্বপ্ন পুড়ে ছাই
ভাঙ্গা (ফরিদপুর) প্রতিনিধি
অনলাইন ভার্সন

হতদরিদ্র পরিবারের সন্তান সিরাজুল ইসলাম(৩৫)। তার বাড়ি ফরিদপুরের নগরকান্দা উপজেলার রামনগর ইউনিয়নের কুঞ্জনগর গ্রামে। জন্ম থেকেই প্রতিবন্ধী। দুই পায়েই সমস্যা। স্বাভাবিকভাবে হাঁটতে পারে না। দুটি পা শুকিয়ে গিয়েছে। প্রতিবন্ধকতা তাকে দমাতে পারেনি। ছোটবেলা থেকেই কাজ পাগল সিরাজ নিজের শারীরিক অক্ষমতাকে পিছনে ফেলে জীবন যুদ্ধে নিজের পায়ে দাঁড়ানোর চেষ্টা করেছে। পিতা দিনমজুর হলেও সিরাজ ছোটবেলা থেকেই দর্জির দোকানের কর্মচারী হিসাবে কাজ করেছে। এক সময় তার কাজের হাত পাকা হয়েছে। একটু একটু সঞ্চয় করে নিজের বাড়ির পাশে কুঞ্জনগর বাজারে পৈতৃক জমিতে ঘর তুলে নিজেই দর্জির দোকান দিয়েছে। আয় রোজগার হচ্ছিল ভালই। একে একে পাশাপাশি ৫টি দোকান ঘর তৈরি করে সিরাজ। ৪টি দোকান ভাড়া দিয়ে ও একটি নিজে চালিয়ে মোটামুটিভাবে চলছিল তার সংসার। হঠাৎ করে গত ৩০ নভেম্বর দিবাগত রাতে অগ্নিকাণ্ডে তার ৫টি দোকানই পুড়ে যায়। তার দোকানের মেশিন পত্র, কাপড় চোপড় পুড়ে ছাই হয়ে যায়। সর্বস্ব হারিয়ে ভেঙ্গে পড়েছে সিরাজ।
সিরাজুল ইসলাম বলেন, আমার সবই শেষ। জীবিকার পথ বন্ধ। তিল তিল করে যে সম্পদ গড়ে তুলেছিলাম তা মুহূর্তেই পুড়ে ছাই হয়ে গেল।
সিরাজের প্রতিবেশি ও নগরকান্দার কৃষ্ণারডাঙ্গী উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মাসুদ মোল্লা বলেন, সিরাজ প্রতিবন্ধী হলেও সৎ ও পরিশ্রমী। এখন সে নিঃস্ব হয়ে পড়েছে। সারজীবন পরিশ্রম করে ৫টি দোকান ঘর তৈরি করেছিল। তাও পুড়ে গেল।
রামনগর ইউনিয়ন পরিষদের সদস্য ওহাব খান জানান, বাড়ির সামান্য একটু জমি আর পাশেই কুঞ্জনগর বাজারের সামান্য জমি এটাই ওর পৈতৃক সম্পদ। আর পৈতৃক সম্পদেই সিরাজ দোকান তৈরি করেছিল।
বিডি প্রতিদিন/ফারজানা
এই বিভাগের আরও খবর