শিরোনাম
- একনজরে আজকের বাংলাদেশ প্রতিদিন (১৯ জুলাই)
- বৈষম্য সংস্কৃতির শত্রু দারিদ্র্যও
- নিউজিল্যান্ডের কাছে পাত্তাই পেল না জিম্বাবুয়ে
- সেন্টমার্টিনে এক লাখ ৪০ ইয়াবাসহ গ্রেফতার ১৭
- এনসিপির ‘মার্চ টু গোপালগঞ্জ’ খতিয়ে দেখা দরকার : এ্যানি
- ১৩ হাজার রানের মাইলফলক স্পর্শ বাটলারের
- মসজিদ ব্যবস্থাপনা নীতিমালা দ্রুত গেজেট আকারে প্রকাশ করা হবে : ধর্ম উপদেষ্টা
- উলভসের হল অব ফেমে জায়গা পেলেন জটা
- চূড়ান্ত সংগ্রামের ঘোষণা দিয়েছিলেন তারেক রহমান : রিজভী
- শ্রোতাদের জন্য হাবিবের নতুন গান ‘দিলানা’
- কোটি মানুষের একটাই দাবি—ভোটের অধিকার ফিরিয়ে দেওয়া : মঈন খান
- পঞ্চগড়ে বিএনপির মৌন মিছিল
- ইন্টারনেট শাটডাউন রোধে আসছে আইন : ফয়েজ আহমদ
- কাপ্তাই হ্রদের উন্নয়নে দুই উপদেষ্টার মতবিনিময়
- সরকারের কোলে একদল, কাঁধে আরেক দল : মির্জা আব্বাস
- চলতি মাসে জুলাই সনদ না হলে দায় সরকার আর ঐকমত্য কমিশনের : সালাহউদ্দিন
- সুনামগঞ্জে পানিতে ডুবে ৩ জনের মৃত্যু
- মার্কিন কূটনীতিকদের বিদেশি নির্বাচন নিয়ে মতামত না দিতে নির্দেশ
- বাফুফের ফুটসাল ট্রায়াল শুরু রবিবার
- গোপালগঞ্জে কারফিউয়ের সময় আরও বাড়ল
স্বপ্ন পুড়ে ছাই
ভাঙ্গা (ফরিদপুর) প্রতিনিধি
অনলাইন ভার্সন

হতদরিদ্র পরিবারের সন্তান সিরাজুল ইসলাম(৩৫)। তার বাড়ি ফরিদপুরের নগরকান্দা উপজেলার রামনগর ইউনিয়নের কুঞ্জনগর গ্রামে। জন্ম থেকেই প্রতিবন্ধী। দুই পায়েই সমস্যা। স্বাভাবিকভাবে হাঁটতে পারে না। দুটি পা শুকিয়ে গিয়েছে। প্রতিবন্ধকতা তাকে দমাতে পারেনি। ছোটবেলা থেকেই কাজ পাগল সিরাজ নিজের শারীরিক অক্ষমতাকে পিছনে ফেলে জীবন যুদ্ধে নিজের পায়ে দাঁড়ানোর চেষ্টা করেছে। পিতা দিনমজুর হলেও সিরাজ ছোটবেলা থেকেই দর্জির দোকানের কর্মচারী হিসাবে কাজ করেছে। এক সময় তার কাজের হাত পাকা হয়েছে। একটু একটু সঞ্চয় করে নিজের বাড়ির পাশে কুঞ্জনগর বাজারে পৈতৃক জমিতে ঘর তুলে নিজেই দর্জির দোকান দিয়েছে। আয় রোজগার হচ্ছিল ভালই। একে একে পাশাপাশি ৫টি দোকান ঘর তৈরি করে সিরাজ। ৪টি দোকান ভাড়া দিয়ে ও একটি নিজে চালিয়ে মোটামুটিভাবে চলছিল তার সংসার। হঠাৎ করে গত ৩০ নভেম্বর দিবাগত রাতে অগ্নিকাণ্ডে তার ৫টি দোকানই পুড়ে যায়। তার দোকানের মেশিন পত্র, কাপড় চোপড় পুড়ে ছাই হয়ে যায়। সর্বস্ব হারিয়ে ভেঙ্গে পড়েছে সিরাজ।
সিরাজুল ইসলাম বলেন, আমার সবই শেষ। জীবিকার পথ বন্ধ। তিল তিল করে যে সম্পদ গড়ে তুলেছিলাম তা মুহূর্তেই পুড়ে ছাই হয়ে গেল।
সিরাজের প্রতিবেশি ও নগরকান্দার কৃষ্ণারডাঙ্গী উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মাসুদ মোল্লা বলেন, সিরাজ প্রতিবন্ধী হলেও সৎ ও পরিশ্রমী। এখন সে নিঃস্ব হয়ে পড়েছে। সারজীবন পরিশ্রম করে ৫টি দোকান ঘর তৈরি করেছিল। তাও পুড়ে গেল।
রামনগর ইউনিয়ন পরিষদের সদস্য ওহাব খান জানান, বাড়ির সামান্য একটু জমি আর পাশেই কুঞ্জনগর বাজারের সামান্য জমি এটাই ওর পৈতৃক সম্পদ। আর পৈতৃক সম্পদেই সিরাজ দোকান তৈরি করেছিল।
বিডি প্রতিদিন/ফারজানা
এই বিভাগের আরও খবর