শিরোনাম
- আমরা জুলাই সনদ ও ঘোষণাপত্র আদায় করে ছাড়ব : নাহিদ
- বাংলাদেশের সর্বস্তরের মানুষের দাবি ইসলামপন্থীদের ঐক্য : মাসুদ সাঈদী
- চীনকে উড়িয়ে টানা তৃতীয় জয়ে শীর্ষে বাংলাদেশ
- নান্দাইলে বজ্রপাতে পিতা-পুত্রের করুণ মৃত্যু
- বিএনপি নির্বাচিত হলে প্রতিটি ঘরে ফ্যামিলি কার্ড দেওয়া হবে : টুকু
- রাজনীতি হবে দেশের স্বার্থে, জনমানুষের স্বার্থে : আখতার হোসেন
- বন্ধুত্ব থেকে প্রেমের সফল পরিণতি
- ইসরায়েলে ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র হামলা
- ইরানে আফগানদের গণবহিষ্কার, ছাড়তে না পারলে গ্রেফতার
- ভেজাল টক দই যেভাবে চিনবেন
- গাজায় চলছে যুদ্ধ, তেলআবিবে ক্ষোভ ও প্রতিবাদ
- হাসারাঙ্গার বিশ্বরেকর্ড
- হাসিনাসহ ১০০ জনকে আদালতে হাজির হতে গেজেট প্রকাশ
- চুয়াডাঙ্গায় স্বাস্থ্য সহকারী নিয়োগে অনিয়মের অভিযোগ
- জলমহালের একমাত্র অধিকার প্রকৃত মৎস্যজীবীদের: ফরিদা আখতার
- ১০ম গ্রেডে উন্নীত হচ্ছেন প্রাথমিকের ৩০ হাজার প্রধান শিক্ষক
- ডেঙ্গু আক্রান্ত আরও ৩১৭ জন হাসপাতালে ভর্তি
- দেশে ২৪ ঘণ্টায় তিনজনের করোনা শনাক্ত
- ধর্ষণের শিকার হয়ে বিষ পান করা সেই কিশোরীকে বাঁচানো গেল না
- আমরা আশা করি একটা ঐকমত্যে পৌঁছাতে পারব : সালাহউদ্দিন
স্বপ্ন পুড়ে ছাই
ভাঙ্গা (ফরিদপুর) প্রতিনিধি
অনলাইন ভার্সন

হতদরিদ্র পরিবারের সন্তান সিরাজুল ইসলাম(৩৫)। তার বাড়ি ফরিদপুরের নগরকান্দা উপজেলার রামনগর ইউনিয়নের কুঞ্জনগর গ্রামে। জন্ম থেকেই প্রতিবন্ধী। দুই পায়েই সমস্যা। স্বাভাবিকভাবে হাঁটতে পারে না। দুটি পা শুকিয়ে গিয়েছে। প্রতিবন্ধকতা তাকে দমাতে পারেনি। ছোটবেলা থেকেই কাজ পাগল সিরাজ নিজের শারীরিক অক্ষমতাকে পিছনে ফেলে জীবন যুদ্ধে নিজের পায়ে দাঁড়ানোর চেষ্টা করেছে। পিতা দিনমজুর হলেও সিরাজ ছোটবেলা থেকেই দর্জির দোকানের কর্মচারী হিসাবে কাজ করেছে। এক সময় তার কাজের হাত পাকা হয়েছে। একটু একটু সঞ্চয় করে নিজের বাড়ির পাশে কুঞ্জনগর বাজারে পৈতৃক জমিতে ঘর তুলে নিজেই দর্জির দোকান দিয়েছে। আয় রোজগার হচ্ছিল ভালই। একে একে পাশাপাশি ৫টি দোকান ঘর তৈরি করে সিরাজ। ৪টি দোকান ভাড়া দিয়ে ও একটি নিজে চালিয়ে মোটামুটিভাবে চলছিল তার সংসার। হঠাৎ করে গত ৩০ নভেম্বর দিবাগত রাতে অগ্নিকাণ্ডে তার ৫টি দোকানই পুড়ে যায়। তার দোকানের মেশিন পত্র, কাপড় চোপড় পুড়ে ছাই হয়ে যায়। সর্বস্ব হারিয়ে ভেঙ্গে পড়েছে সিরাজ।
সিরাজুল ইসলাম বলেন, আমার সবই শেষ। জীবিকার পথ বন্ধ। তিল তিল করে যে সম্পদ গড়ে তুলেছিলাম তা মুহূর্তেই পুড়ে ছাই হয়ে গেল।
সিরাজের প্রতিবেশি ও নগরকান্দার কৃষ্ণারডাঙ্গী উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মাসুদ মোল্লা বলেন, সিরাজ প্রতিবন্ধী হলেও সৎ ও পরিশ্রমী। এখন সে নিঃস্ব হয়ে পড়েছে। সারজীবন পরিশ্রম করে ৫টি দোকান ঘর তৈরি করেছিল। তাও পুড়ে গেল।
রামনগর ইউনিয়ন পরিষদের সদস্য ওহাব খান জানান, বাড়ির সামান্য একটু জমি আর পাশেই কুঞ্জনগর বাজারের সামান্য জমি এটাই ওর পৈতৃক সম্পদ। আর পৈতৃক সম্পদেই সিরাজ দোকান তৈরি করেছিল।
বিডি প্রতিদিন/ফারজানা
এই বিভাগের আরও খবর
সর্বশেষ খবর