ফরিদপুরের বোয়ালমারী উপজেলার শেখর ইউনিয়নের সাবেক দুই ইউপি চেয়ারম্যানের সমর্থকদের মধ্যে শেখর ও দূর্গাপুর গ্রামে দফায়-দফায় সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে গত শনিবার (৫ ডিসেম্বর) ও রবিবার (৬ ডিসেম্বর) এ সংঘর্ষে উভয় পক্ষের প্রায় ১৫ জন আহত হয়েছেন।
সংঘর্ষ চলাকালীন উভয় পক্ষের ২৫-৩০টি বাড়িতে ভাংচুর ও লুটপাটের ঘটনা ঘটেছে। পরে আজ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন ফরিদপুরের সিনিয়র সহকারী পুলিশ সুপার (মধুখালী সার্কেল) আনিসুজ্জামান।
ঘটনাস্থলে গিয়ে জানা যায়, ফরিদপুর জেলা পরিষদ সদস্য, উপজেলা আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি ও শেখর ইউপির সাবেক চেয়ারম্যান আবুল কালাম আজাদ ও শেখর ইউপির সাবেক চেয়ারম্যান রইসুল ইসলাম পলাশের সমর্থকদের মধ্যে শনিবার দুপুরে প্রথম দফা সংঘর্ষ বাধে। দু'পক্ষের শতাধিক মানুষের ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়া ও ইট-পাটকেল নিক্ষেপে ৫/৬ জন আহত ও প্রায় ১০টি বসত-বাড়িতে ভাংচুর-লুটপাট হয়।
একপর্যায়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনেন। এর জের ধরে আজ রবিবার সকালে ঘোষণা দিয়েই দু'পক্ষের প্রায় ৫ শতাধিক লোক দেশীয় অস্ত্র-শস্ত্র নিয়ে সংঘর্ষে লিপ্ত হয়। এ সময়ও ব্যাপক ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়াসহ ইট-পাটকেল নিক্ষেপের মধ্যদিয়ে সংঘর্ষ চলাকালে নারী-পুরুষ সহ প্রায় ১০ ব্যক্তি আহত ও ১৫/২০ টি বাড়িতে ভাংচুর-লুটপাটের ঘটনা ঘটে।
হামলায় গুরুতর আহত বাবলু মিয়া (৪০), শিমুল মোল্যা (৩৫), বিলাশ মিয়া (২৫) ও মোর্শেদা বেগমকে বোয়ালমারী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়েছে। বাকীদের প্রাথমিক চিকিৎসা দেওয়া হয়।
বোয়ালমারী থানার ওসি (তদন্ত) মো. আবুল খায়ের মিয়া বলেন, ঘটনাস্থল থেকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য ৬ জনকে আটক করা হয়েছে। আইনশৃঙ্খলা রক্ষায় এলাকায় পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে। এ পর্যন্ত কোনো পক্ষ থানায় লিখিত অভিযোগ দেয়নি।
বিডি প্রতিদিন/আবু জাফর