দিনাজপুরে অপ্রাপ্ত বয়সে কনেকে বিয়ে দেওয়ার অপরাধে বাবাকে কন্যার পূর্ণ বয়স না হওয়া পর্যন্ত বিয়ে দিবেন না মর্মে মুচলেকা নেওয়া হয়েছে। এছাড়া বরকে ১০ হাজার টাকা অর্থদণ্ড করা হয়।
গত সোমবার বিরামপুর উপজেলার মল্লিকপুর গ্রামে রাতের আঁধারে বাল্যবিয়ের আয়োজন করায় ভ্রাম্যমাণ আদালতে এই রায় দেয়া হয়। ভ্রাম্যমাণ আদালতের বিচারক বিরামপুর উপজেলা নির্বাহী অফিসার ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট পরিমল কুমার সরকার রাতেই বিয়ে বাড়িতে হাজির হয়ে বিয়ে বন্ধ করে দিয়ে ওই কিশোরীকে বাল্যবিয়ে থেকে রক্ষা করেন।
স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যান সাইফুল ইসলাম বলেন, স্থানীয় মল্লিক গ্রামে বাল্যবিয়ের আয়োজন হচ্ছে এমন খবর আসার পর সেখানে লোক পাঠিয়ে বিয়ে বন্ধ করতে বললেও তারা তাদের কার্যক্রম চালিয়ে যাচ্ছিল। পরে বিষয়টি ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষ জানতে পেরে তারা ঘটনাস্থলে এসে বিয়ে বন্ধ করে দেয়।
বিরামপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট পরিমল কুমার সরকার জানান, খবর পেয়ে পুলিশ নিয়ে বাল্য বিয়ের ওই বাড়িতে উপস্থিত হয়ে কনের বিয়ের বয়সের কাগজ যাচাই করলে সেটি বাল্যবিয়ের আওতায় পড়ে। পরে বর ও কনের বাবাকে উপজেলা নির্বাহী অফিসারের কার্যালয়ে হাজির করে ভ্রাম্যমাণ আদালত বসিয়ে কনের বাবাকে কন্যার বয়স পূর্ণ না হওয়া পর্যন্ত বিয়ে দিবেন না মর্মে মুচলেকা এবং বরকে ১০ হাজার টাকা অর্থদণ্ড করা হয়।
বিডি প্রতিদিন/হিমেল