ঠাকুরগাঁও জেলার বিভিন্ন স্থানে সুবাতাস ছড়াচ্ছে আগাম আমের মুকুল। জেলার লোহাগাড়া , কাতিহার পৌষের প্রথম সপ্তাহে আম গাছে আগাম মুকুলের দেখা দিয়েছে। বাতাসে ভেসে বেড়াচ্ছে মিষ্টি গন্ধ। এবার জেলায় শীতের প্রকোপ কম থাকায় আগাম মুকুল দেখা দিয়েছে।
নির্ধারিত সময়ের প্রায় এক মাস আগেই আবহাওয়াগত ও জাতের কারণেই মূলত আমের মুকুল আসতে শুরু করেছে বলে জানিয়েছেন কৃষি বিভাগ। আমের রাজধানী হিসেবে রাজশাহী ও চাঁপাইনবাবগঞ্জ বিখ্যাত হলেও ঠাকুরগাঁও কোনো অংশে এখন কম নয়।
জেলার লোহাগাড়া, কাতিহার ও পীরগঞ্জ, রাণীশংকৈল উপজেলার বিভিন্ন স্থানে আম গাছে এমন চিত্র চোখে পড়ে। আমগাছে আগাম মুকুলের এমন চিত্র দেখে অনেকে খুশি। তবে মুকুলের পরিমাণ কম হলেও এর সৌরভ ছড়িয়ে পড়ছে বাতাসে।
এদিকে আমের মুকুল আসার আগে থেকেই বাগান পরিচর্যায় ব্যস্ত সময় পার করছেন বাগান মালিক ও ব্যবসায়ীরা।
আম চাষিরা জানান, এবার শীতের তীব্রতা কম থাকায় গেল কয়েক সপ্তাহ থেকেই আম গাছে মুকুল আসতে শুরু করেছে। আর আবহাওয়া অনুকূলে থাকলে এবার গাছগুলোতে মুকুলের সমারহ ঘটার সম্ভাবনা রয়েছে।
লোহাগাড়া, পীরগঞ্জ, রাণীশংকৈলের আম চাষি কাদের জানান, প্রায় দুই সপ্তাহ থেকে তিনি আম গাছের পরিচর্যা শুরু করে দিয়েছেন। পোকা-মাকড়ের আক্রমণ থেকে আমের মুকুলকে রক্ষার জন্য প্রতিটি গাছে স্প্রে করছেন। এবার আমের ফলন ভালো হবে এবং দামও ভালো পাবে বলে আশা করছেন চাষিরা।
জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদফতরের উপ-পরিচালক আলতাফ হোসেন বলেন, ফেব্ররুয়ারিতেই মূলত মুকুল আসা শুরু হয়। যেসব গাছে আগাম মুকুল আসছে তা কেবল আবহাওয়াগত ও জাতের কারণে। জেলায় প্রতি বছর আম বাগানের সংখ্যা ক্রমেই বাড়ছে। বিশেষ করে ল্যাংড়া, গোপালভোগ, ক্ষীরসাপাত, আশ্বিনা জাত বেশি।
বিডি প্রতিদিন/আরাফাত