রাজশাহীর চারঘাটে ট্রেন-মাহিন্দ্রা ধাক্কায় সুজন আহমেদ (৩০) নামের এক যুবকের মৃত্যু হয়েছে। তিনি মাহিন্দ্রা চালক ছিলেন। বুধবার সকালে চারঘাট উপজেলার নিমপাড়া ইউনিয়নের বাগমারী রেলক্রসিংয়ের ওপর এই ঘটনা ঘটে। নিহত সুজনের গ্রামের বাড়ি পাশের বাঘা উপজেলার পাকুড়িয়া ইউনিয়নের সড়কঘাট গ্রামে। তার বাবার নাম শামসুল হক। ঘটনার পর পুলিশ যাওয়ার আগেই নিহতের পরিবার তার মরদেহ দাফনের জন্য গ্রামের বাড়ি নিয়ে গেছেন।
খবর পেয়ে দুপুরে চারঘাট থানা পুলিশ ঘটনস্থল থেকে দুর্ঘটনা কবলিত মাহিন্দ্রাটি উদ্ধার করে থানায় নিয়ে গেছে।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, সকালে রাজশাহীর বাঘা উপজেলার আড়ানী ও চারঘাট উপজেলার বাগমারী এলাকার মাঝখানে এ দুর্ঘটনা ঘটে। সুজন আহমেদ বাঘার আড়ানী থেকে মাটি বোঝাই মাহিন্দ্রা নিয়ে চারঘাট উপজেলার বাগমারী এলাকার দিকে যাচ্ছিলেন। এ সময় বাগমারী রেলক্রসিংয়ের ওপর মাহিন্দ্রার চাকা আঁটকে যায়। পরে রাজশাহী থেকে ছেড়ে আসা খুলনাগামী তিতুমীর এক্সপ্রেস ট্রেনটির সঙ্গে বাগমারী রেলক্রসিংয়ে আঁটকে পড়া মাহিন্দ্রার সংঘর্ষ হয়। এতে চলন্ত ট্রেনের ধাক্কায় ঘটনাস্থলেই মাহিন্দ্রাটি দুমড়ে মুচড়ে যায়। আর ট্রেনের নিচে কাটা পড়ে মাহিন্দ্রা চালক সুজনের মৃত্যু হয়।
রাজশাহীর চারঘাট থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) জাহাঙ্গীর আলম বলেন, সংবাদ পেয়ে ঘটনাস্থল থেকে শুধু মাহিন্দ্রাটি উদ্ধার করা হয়ছে। নিহত ব্যক্তির আত্মীয়-স্বজন মরদেহটি ঘটনার সঙ্গে সঙ্গে নিয়ে গেছেন।
বিডি প্রতিদিন/ ওয়াসিফ