২৬ জানুয়ারি, ২০২১ ১৯:২৮

সোনাতলায় ব্রিজে সংযোগ সড়ক না থাকায় দুর্ভোগে ২০ হাজার মানুষ

আবদুর রহমান টুলু, বগুড়া:

সোনাতলায় ব্রিজে সংযোগ সড়ক না থাকায় দুর্ভোগে ২০ হাজার মানুষ

বগুড়ার সোনাতলা উপজেলার সুজাইতপুর থেকে বালুয়া সড়কে ব্রিজ থাকলেও সংযোগ সড়ক নেই। সড়কের গোবরচাপা নামক বিলের পাশের ব্রিজের সাথে সংযোগ সড়ক না থাকায় সুজাইতপুর থেকে বালুয়া পর্যন্ত সরাসরি চলাচল করতে পারছে না। আশপাশের প্রায় ২০ হাজার মানুষের ভোগান্তি চরমে উঠেছে। নানা প্রয়োজনে ও চলাচল করতে হচ্ছে প্রায় ৫ কিলোমিটার ঘুরে। এলাকাবাসী অতিদ্রুত ব্রীজের সংযোগ সড়ক নির্মাণ করে চলাচলের পথকে সুগম করার দাবি জানিয়েছে। 

জানা যায়, বগুড়ার সোনাতলা উপজেলার সদর ইউনিয়নের সুজাইতপুর থেকে বালুয়া সড়কটি দির্ঘদিন আগে নির্মিত। এই সড়ক দিয়ে স্থানীয়রা চলচল ছাড়াও এলাকায় উৎপাদিত কৃষিপণ্য পরিবহনে ভোগান্তির শিকার হতে হচ্ছে সাধারণ কৃষকদের। এলাকায় উৎপাদিত শীত সবজি হিসেবে লাউ, আলু, বেগুন, মরিচ, মুলা, বঁধাকপি এবং বছরে তিনটি করে ধান চাষ হয়ে থাকে। সুজাইতপুর থেকে বালুয়া সড়কটি পাঁকাকরণ করা হয় প্রায় ৪ বছর আগে। ওই সড়ক দিয়ে প্রতিদিন প্রায় কয়েক হাজার মানুষ যাতায়াত করে। গত বন্যার সময় ওই সড়কের গোবরচাপা বিলের পাশে ব্রীজটির একপাশের মাটি ধ্বসে গেছে। এরপর থেকে ওই সড়ক দিয়ে মানুষসহ সকল ধরনের যানবাহন চলাচল বন্ধ রয়েছে। ফলে ওই সড়ক দিয়ে চলাচল করা মানুষের গন্তব্য স্থলে পৌঁছিতে যাতায়াত করতে হয় প্রায় ৪ থেকে ৫কিলোমিটার দূরের পথে ঘুরে ঘুরে। ওই সড়ক দিয়ে প্রতিদিন প্রায় ২০/২৫ হাজার মানুষ উপজেলা শহর ও জেলা শহরে যাতায়াত করে। এছাড়া বিভিন্ন যাত্রীবাহী ও পণ্যবাহী যানবাহন চলাচল করে।

স্থানীয় আযাদুল ইসলাম, শামিম হোসেনসহ অনেকে জানিয়েছে, সরকারের লাখ লাখ টাকা খরচ করে সড়ক পাকাঁকরণ ও ব্রীজ নির্মাণ করা হলেও ওই সড়কটি জনগনের কোনও কাজে আসছেনা। প্রায় ১০মাস ধরে সড়কটি দিয়ে চলাচল বন্ধ থাকার বিষয়টি স্থানীয় প্রশাসন ও জন প্রতিনিধিরা অবগত থাকলেও কোনও ব্যবস্থা নিচ্ছে না। দ্রুত সময়ের মধ্যে ব্রীজের পাশে^র মাটি ভরাট করে চলাচল স্বাভাবিক করার জন্য সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের নিকট দাবী জানান তারা

বগুড়ার সোনাতলা উপজেলার সোনাতলা সদর ইউপি চেয়ারম্যান মাহবুবুল আলম বুলু বলেন, এবিষয়ে উপজেলা প্রকৌশলীকে জানানো হয়েছে। অতি দ্রুতই এর সমাধান হবে বলে তিনি জানান।

বগুড়া সোনাতলা উপজেলা প্রকৌশলী রাশেদ ইমরান বলেন, এখনও পানি থাকার কারনে ব্রিজের ধারে ভাঙ্গা অংশটি মেরামত করা সম্ভব হয়নি। আশা করা যাচ্ছে কিছু দিনের মধ্যেই পানি কমে যাবে এবং প্রবল স্রোতে ভাঙ্গন রোধে এবার স্থায়ী ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

বিডি প্রতিদিন/ মজুমদার 

এই বিভাগের আরও খবর

সর্বশেষ খবর