কুমিল্লার নাঙ্গলকোটে সেনা সদস্য আবদুর রহমান হত্যা মামলায় চারজনকে ফাঁসি রায় দিয়েছেন আদালত। এ মামলায় আরও একজনকে ১০ বছরের সশ্রম কারাদণ্ড দেয়া হয়েছে।
সোমবার কুমিল্লার অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ ৪র্থ আদালতের বিচারক রোজিনা খান ফাঁসির দণ্ডপ্রাপ্ত আসামিদের উপস্থিতিতে এ রায় দেন।
১০ বছর সশ্রম কারাদণ্ড প্রাপ্ত আসামি পলাতক রয়েছে। ফাঁসির আসামিরা হচ্ছেন- ব্রাহ্মণবাড়িয়ার বিজয়নগর উপজেলার চম্পকনগর বাদারিয়া গ্রামের রুহুল আমিনের ছেলে মো. সিরাজুল ইসলাম, একই উপজেলার উথারিয়া গ্রামের রেজু মিয়ার ছেলে উজ্জল মিয়া, চট্টগ্রামের হাটহাজারী থানার মৌলভীপাড়া গ্রামের রফিক মিয়ার ছেলে জনি ও হবিগঞ্জের বানিয়াচং থানার মশাখালী গ্রামের আকাশী দাসের ছেলে প্রদীপ দাস। এ মামলায় ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদরের বাসুদেব গ্রামের লাহু মিয়ার ছেলে আলী আক্কাছকে ১০ বছরের কারাদণ্ড দেয়া হয়।
আদালত সূত্রে জানা যায়, চাঁদপুর জেলার ফরিদগঞ্জ উপজেলার মদনের গাঁও গ্রামের হাফেজ মাওলানা মফিজুল ইসলামের ছেলে আবদুর রহমান বগুড়া সেনানিবাসে সৈনিক পদে কর্মরত ছিলেন। ২০১৬ সালের ২১ অক্টোবর রাতে চট্টগ্রামের রাউজান সরকারি কলেজ কেন্দ্রে বাংলাদেশ উন্মুক্ত বিশ্ববিদ্যালয়ের অধীনে এইচ.এস.সি পরীক্ষা দিয়ে চট্টগ্রাম রেল স্টেশন থেকে ঢাকাগামী মেইল ট্রেনে রওনা হন। ট্রেনে একদল ডাকাত যাত্রীদের মালামাল লুন্ঠনকালে আবদুর রহমান তাদের বাধা দেন। এতে ডাকাতরা তাকে এলোপাতাড়ি কুপিয়ে হত্যা করে। হত্যার পর তার মরদেহ নাঙ্গলকোট রেলওয়ে স্টেশনের দক্ষিণে গোত্রশাল দিঘির পশ্চিম পাশে ফেলে দেয়। লাকসাম রেলওয়ে থানা পুলিশের নিহতের মরদেহ উদ্ধার করে। এ ঘটনায় পরদিন রাতে নিহত আবদুর রহমানের পিতা বাদী হয়ে অজ্ঞাতনামা ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে লাকসাম রেলওয়ে থানায় মামলা দায়ের করেন। মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা এসআই মো. আতাউর রহমান তদন্তকালে উল্লেখিত চারজনকে গ্রেফতার করে। আসামিরা আদালতে ১৬৪ ধারায় স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দী প্রদান করে। ২০১৭ সালের ১১ জুলাই ৫ জনের বিরুদ্ধে আদালতে চার্জশীট দাখিল করা হয়। এ মামলায় ২৮ জন স্বাক্ষীর মধ্যে ১৩ জন স্বাক্ষীর স্বাক্ষ্যগ্রহণ করা হয়।
রাষ্ট্রপক্ষে মামলাটি পরিচালনা করেন অ্যাডভোকেট শেখ মাসুদ ইকবাল মজুমদার এবং আসামি পক্ষে অ্যাডভোকেট নাঈমা সুলতানা মুন্নী।