চাঁদপুরের হাজীগঞ্জ উপজেলায় যৌতুকের দাবিতে মিশু আক্তার (১৮) নামে এক গৃহবধূকে হত্যার অভিযোগে স্বামী রাসেলকে আটক করেছে পুলিশ।
শনিবার রাতে উপজেলার তারালিয়া গ্রামের সর্দার বাড়িতে হত্যার শিকার হন গৃহবধূ। পরদিন রবিবার দুপুরে পুলিশ সংবাদ পেয়ে মিশুর মরদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য চাঁদপুর মর্গে প্রেরণ করেছে।
আটক রাসেল উপজেলার গন্ধর্ব্যপুর (উ.) ইউনিয়নের তারালিয়া গ্রামের সর্দার বাড়ির ওসমান গণির ছেলে। হত্যার শিকার মিশু মৈশামুড়া গ্রামের ইয়াছিন বেপারী বাড়ির লাল মিয়ার মেয়ে। ৯ মাস আগে রাসেলের সাথে মিশুর পারিবারিকভাবে বিবাহ হয়।
নিহত মিশুর মা মরিয়ম বেগম বলেন, শনিবার সকালে মিশু আমাদের বাড়ি থেকে তার শ্বশুর বাড়ি যায়। একই দিন তার স্বামীও ঢাকা থেকে নিজ বাড়িতে আসে। রবিবার সকালে জামাইয়ের বাড়ি থেকে ফোন করে মিশু অসুস্থ বলে আমাদের জানায়। আমরা তাদের বাড়িতে গেলে শুনি মিশুকে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়েছে। হাসপাতালে এসে মিশুর লাশ পড়ে থাকতে দেখি।
তিনি বলেন, মিশুর স্বামী রাসেল, শ্বশুর ওসমান গণি ও মামা শ্বশুর মহিনউদ্দিন নির্মমভাবে আমার মেয়েকে হত্যা করেছে। আমি এ হত্যার বিচার চাই। তারা আমার কাছে যৌতুকের জন্য ২ লাখ টাকা দাবি করেছে। আমি ১ লাখ টাকা দিয়েছি। বলেছি নিকাহনামা রেজিস্ট্রি সম্পন্ন হলে আরো ১ লাখ টাকা দেব। কিন্তু তার আগেই তারা আমার মেয়েকে হত্যা করেছে।
মিশুর স্বামী রাসেল জানায়, মিশু রাতে আলাদা রুমে ছিল। সকালে ঘুম থেকে উঠে দেখি তার মুখে দিয়ে লালা পড়ছে। তখন তাকে হাসপাতালে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন।
হাজীগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. আলমগীর হোসেন রনি বলেন, নিহত মিশুর গলায় আঘাতের চিহ্ন রয়েছে। মৃতদেহ ময়নাতদন্তের জন্য চাঁদপুরে প্রেরণ করা হয়েছে। মিশুর স্বামীকে আটক করা হয়েছে। পরিবারের পক্ষ থেকে মামলা হয়েছে।
বিডি প্রতিদিন/এমআই