ঘড়ির কাটায় তখন বিকেল ঠিক তিনটে বেজে দশ। পরিপাটি করে গোছানো উৎসবস্থল। আয়োজকরা চারিদিকটা ভাল করে দেখে নিচ্ছেন কোথাও কোন অপূর্ণতা থেকে গেলো কিনা। যদিও বৃহস্পতিবার (১৯ জানুয়ারি) রাতেই সব আয়োজন শেষ করেই বাসায় ফিরেছেন তারা।
শুক্রবার (২০ ফেব্রুয়ারি) বেলা সাড়ে তিনটা থেকেই উৎসব স্থলে আসতে থাকেন আমন্ত্রিত অতিথিরা। কেউ হলুদ শাড়ি, কেউ লাল, কেউবা সাদা, কেউ আবার সাদা-কালো বুটির শাড়িতে। পুরুষরা এসেছেন বাহাড়ী রং আর ডিজাইনের পাঞ্জাবি গায়ে জড়িয়ে। সাথে আসা শিশুদের গায়ে ছিল বাহারী রঙের পোশাক। মহূর্তেই হরেক রঙে রঙ্গিন হয়ে উঠে মৌলভীবাজারের শ্রীমঙ্গলে টি-হ্যাভেন রিসোর্টের বসন্ত উৎসব স্থল।
শুক্রবার বিকেল তিনটা থেকে শুরু হয়ে রাত নয়টা পর্যন্ত চলে এ উৎসব। এর আয়োজক ছিল শিল্পী কল্যাণ সংস্থা। নারীদের রশিটানা, বালিশ খেলা, মিউজিকেল চেয়ার ও হাঁড়ি ভাঙ্গা খেলায় ছিল বাধ ভাঙ্গা উচ্ছ্বাস। মুগ্ধতা ছড়িয়েছে সাজু দেব, দীপ দত্ত আকাশ ও কেয়া সিংহার দলীয় নৃত্য। সূপর্না চৌধুরীর হাওয়াইয়ান গিটারের সুরের মূর্ছনা ছিল বেশ উপভোগ্য।
বিভিন্ন শিল্পেদের পরিবেশনায় ছিল একক সংগিত। দ্বৈত গানের পরিবেশনায় ছিলেন ডা. বিনেন্দু ভৌমিক ও ডা. আব্দুল্লা আল মাছুম। শিশুদের জন্য ছিল চকলেট দৌড়। রামকৃষ্ণ সরকারের ধামাই দলের পরিবেশনে ছিল সিলেটের ঐতিহ্যবাহী ধালাইলগীত। আর রাতে উৎসবের শেষে মোমেনা চৌধুরী অভিনীত একক নাটক 'লালজমিন' মঞ্চায়নের সময় যেন স্তব্ধ হয়ে গিয়েছিল উৎসব স্থল।
শিল্পী কল্যান সংস্থার সভাপতি আবু সুলতান মো. ইদ্রিস লেদু বলেন, প্রতি বছরের মতো এবারও আমরা এই উৎসবের আয়োজন করেছিলাম। কিছু সময়ের জন্য আমরা সবাই মিলে একত্রে মিলিত হলাম। একে অন্যর সাথে মনের ভাব বিনিময় করতে পারলাম। শিশুরাও একটু আনন্দ করতে পারলো। তবে এ বছরের বিশেষ আর্কষন ছিল মোমেনা চৌধুরীর 'লালজমিন'নাটক পরিবেশন।
বিডি-প্রতিদিন/আব্দুল্লাহ সিফাত