শিরোনাম
৮ মার্চ, ২০২১ ২১:০৩

৬ দিনেও উদ্ধার হয়নি অপহৃত স্কুলছাত্রী

সোনারগাঁও (নারায়ণগঞ্জ) প্রতিনিধি

৬ দিনেও উদ্ধার হয়নি অপহৃত স্কুলছাত্রী

নারায়ণগঞ্জের সোনারগাঁও উপজেলায় অষ্টম শ্রেণির এক স্কুলছাত্রীকে অপহরণের ৬ দিন পরও তাকে উদ্ধার করতে পারেনি পুলিশ। গত ৩ মার্চ সন্ধ্যায় তাকে উপজেলার বৈদ্যারবাজার ইউনিয়নের সাত ভাইয়াপাড়া গ্রামের জাহাঙ্গীর হোসেন ওরফে শিকদার (২০) ও তার লোকজন অপহরণ করে বলে অভিযোগ করে ভুক্তভোগীর ছাত্রীর পরিবার। এরপর থেকে সে নিখোঁজ রয়েছে।

অভিযোগ ও ছাত্রীর পরিবার সূত্রে জানা গেছে, এক বছর ধরে জাহাঙ্গীর হোসেন ওরফে শিকদার ওই ছাত্রীকে উত্ত্যক্ত ও প্রেমের প্রস্তাব দিচ্ছিলেন। বিষয়টি ওই ছাত্রী তার পরিবারের সদস্যদের জানায়। গত ৩ মার্চ সন্ধ্যায় শিকদার ও তার লোকজন ওই ছাত্রীকে অপহরণ করে নিয়ে যান। পরে স্থানীয় লোকজনের কাছে পরিবার জানতে পারে, ওই ছাত্রীকে শিকদার ও তার লোকজন অপহরণ করে নিয়ে গেছেন।

স্থানীয়ভাবে স্কুলছাত্রীকে উদ্ধারের চেষ্টা করা হয়। তাতেও কাজ না হওয়ায় ওই স্কুলছাত্রীর বাবা মো. আহসান উল্লাহ বাদী হয়ে থানায় একটি অভিযোগ করেন। অভিযোগের ৬ দিন অতিবাহিত হলেও পুলিশ ছাত্রীকে উদ্ধার করতে পারেনি।

ওই ছাত্রীর বাবা মো. আহসান উল্লাহ বলেন, আমার মেয়ে খুবই ছোট। মাত্র অষ্টম শ্রেণিতে পড়ে। স্কুলে যাতায়াতে জাহাঙ্গীর হোসেন ওরফে শিকদারের উত্ত্যক্তের কথা প্রায়ই সে আমাকে বলত। মেয়েকে অপহরণ করে নিয়ে যাবে, আমরা এটা বুঝতে পারেনি। অপহরণের ৬ দিন পর্যন্ত ওই বখাটের আত্মীয়স্বজনের কাছে কতই না অনুরোধ করেছি আমার মেয়েটাকে দিয়ে দিতে। কিন্তু তারা আমাদের কথা শোনেনি। মেয়েটা এখন কী অবস্থায় আছে, সেটাও আমরা জানি না। পরে বাধ্য হয়ে থানার অভিযোগ করেছি।

কিন্তু পুলিশ এখনো আমার মেয়েটাকে উদ্ধার করতে পারেনি। আমি আমার মেয়েটাকে চাই। বখাটের পরিবার এখন অভিযোগ তুলে নিতে আমাদের হুমকি দিচ্ছে। অভিযোগ তুলে না দিলে নাকি মেয়েকে কোনো দিনও দেবে না বলেও অভিযোগ করেন তিনি।

এ বিষয়ে জানতে জাহাঙ্গীর হোসেন ওরফে শিকদার বাড়িতে গিয়ে কাউকে পাওয়া যায়নি। তারা সবাই পলাতক রয়েছে। তাই এ ব্যাপারে তাদের বক্তব্য নেওয়া সম্ভব হয়নি।

সোনারগাঁও থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) রফিকুল ইসলাম জানান, এ বিষয়ে থানায় অভিযোগ নেওয়া হয়েছে। ওই ছাত্রীকে উদ্ধারে পুলিশি অভিযান অব্যাহত রয়েছে। আশা করি, দ্রুত সময়ের মধ্যে ওই ছাত্রীকে উদ্ধার করা যাবে।

বিডি প্রতিদিন/এমআই

এই বিভাগের আরও খবর

সর্বশেষ খবর