টেকসই কৃষিব্যবস্থার জন্য জলবায়ু পরিবর্তন একটি উদ্বেগের বিষয়। নাইট্রোজেন জাতীয় সারের উচ্চমাত্রার ব্যবহার জলবায়ু পরিবর্তনে অবদান রাখে। কৃষি বিজ্ঞানীগণ কৃষিতে জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাব সম্পর্কে সচেতন, যদিও বিষয়টি আমাদের কৃষকদের কাছে ভালভাবে বোধগম্য নয়। সুতরাং, সচেতনতা বৃদ্ধির অংশ হিসাবে সোমবার বিকেলে গাজীপুরের কাপাসিয়া উপজেলার টোকনগর গ্রামে “জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাব মোকাবেলায় কৃষি ব্যবস্থাপনা” শীর্ষক কৃষক-বিজ্ঞানী মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত হয়।
বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের (বশেমুরকৃবি) উদ্যোগে এই মতবিনিময় সভাটি সাউথ এশিয়ান নাইট্রোজেন হাব (এস এ এন এইচ) এবং কৃষি গবেষণা ফাউন্ডেশনের এম সি সি এ প্রকল্পের যৌথ সহযোগিতায় অনুষ্ঠিত হয়।
সভায় প্রধান অতিথি হিসাবে উপস্থিত ছিলেন বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের ভাইস-চ্যান্সেলর প্রফেসর ড. মো: গিয়াসউদ্দীন মিয়া এবং অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন কৃষক প্রতিনিধি মাওলানা রায়হান উদ্দীন। বশেমুরকৃবির ট্রেজারার প্রফেসর তোফায়েল আহমেদ অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসাবে উপস্থিত ছিলেন। অনুষ্ঠানে বশেমুরকৃবির মৃত্তিকা বিজ্ঞান বিভাগের অধ্যাপক ড. মোঃ মিজানুর রহমান বক্তব্য রাখেন। মতবিনিময় সভায় টোকনগর গ্রামের প্রায় দুইশত জন কৃষক, বশেমুরকৃবির শিক্ষকবৃন্দ, বাংলাদেশ কৃষি গবেষণা ইন্সটিটিউট এবং বাংলাদেশ ধান গবেষণা ইন্সটিটিউটের বিজ্ঞানীবৃন্দ, উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা, উপজেলা প্রাণি সম্পদ কর্মকর্তা এবং ইলেকট্রনিক ও প্রিন্ট মিডিয়ার সাংবাদিকবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।
প্রধান অতিথি তার বক্তব্যে বলেন, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় সর্বদা জলবায়ু পরিবর্তনের বিষয়টি শিক্ষা ও গবেষণায় অন্তর্ভুক্ত করে। তিনি উল্লেখ করেন বশেমুরকৃবি ইতিমধ্যে প্রতিকূল পরিস্থিতি মোকাবেলায় বেশ কিছু জলবায়ু স্মার্ট ফসলের জাত ও প্রযুক্তি উদ্ভাবন করেছে। সেক্ষেত্রে তিনি প্রযুক্তিগুলো মাঠ পর্যায়ে ছড়িয়ে দিতে সক্রিয় সম্পসারণ কার্যক্রমের উপর জোর দেন। নাইট্রোজেনকে যেহেতু জলবায়ু পরিবর্তন ত্বরান্বিত করার অন্যতম চালিকা শক্তি হিসাবে বিবেচনা করা হয়, তাই প্রধান অতিথি কৃষকদের কৃষিক্ষেত্রের বিভিন্ন খাতে যেমন ফসল উৎপাদন, একুয়াকালচার, প্রাণিপালন ইত্যাদিতে যৌক্তিকভাবে নাইট্রোজেন সার ব্যবহারের পরামর্শ প্রদান করেন। কৃষক প্রতিনিধিসহ মতবিনিময় সভার সকল বক্তাগন টেকসই কৃষি উৎপাদন নিশ্চিত করার লক্ষ্যে জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাব মোকাবেলায় উন্নততর কৃষি ব্যবস্থাপনায় কৃষক, গবেষক এবং সম্প্রসারণ কর্মীদের মধ্যে সমন্বয় সাধনের উপর গুরুত্বারোপ করেন।
বিডি প্রতিদিন/এ মজুমদার