চাঁপাইনবাবগঞ্জের শিবগঞ্জে ২০০ বছর ধরে একটি সেতুর অপেক্ষায় রয়েছেন ৬টি ইউনিয়নের ৩ লাখ মানুষ। বহু পুরনো এ ঘাটে একমাত্র বাঁশের সাঁকোই হচ্ছে নদী পারাপারের শেষ ভরসা।
জানা গেছে, শিবগঞ্জ উপজেলার শ্যামপুর ইউনিয়নে পাগলা নদীর ওপর বটতলা ঘাট দিয়ে শ্যামপুর, মনাকষা, শাহাবাজপুর, বিনোদপুর, কানসাট ও দুর্লভপুর ইউনিয়নের মানুষ বাঁশের সাঁকোর উপর দিয়ে পারাপার হয়। এ ঘাটের এপারে ও ওপারে ৫টি কলেজ, ১০টি উচ্চবিদ্যালয়, ৭টি মাদ্রাসাসহ প্রায় ২৫টি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান থাকায় হাজার হাজার মানুষ জীবনের ঝুঁকি নিয়ে এই পথে চলাচল করে।
স্থানীয়রা জানান, শ্রাবণ থেকে অগ্রহায়ন মাস পর্যন্ত নৌকায় পারাপার হতে হয় বটতলা ঘাট দিয়ে এবং বাকি ৭ মাস বাঁশের সাঁকো দিয়ে পার হতে হয়। কিন্তু এর ওপর ব্রিজ নির্মাণের প্রতিশ্রুতি বার বার দেয়া হলেও তা বস্তবায়নের কোন উদ্যোগ নেই। স্থানীয়দের মতে, বাঁশের সাঁকো দিয়ে পারাপার হতে যাত্রীদের দিতে হয় অতিরিক্ত টোল।
শাহাবাজপুর ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক খাদেমুল ইসলাম বলেন, পাগলা নদীর ওপর প্রায় ২০০ বছরের এ পুরাতন বটতলা ঘাট দিয়ে ৬টি ইউনিয়নের প্রায় ৩ লাখ মানুষ অতি কষ্টে পারাপার হয়ে থাকে। তবুও এখন পর্যন্ত স্থানীয় নির্বাচিত জনপ্রতিনিধিদের সুদৃষ্টি পড়েনি এখানে। দুর্ভোগ কমাতে ব্রিজটি দ্রুত নির্মাণের দাবি জানান তিনি।
এ ব্যাপারে শিবগঞ্জ উপজেলা প্রকৌশলী হারুন অর রশিদ জানান, ইতিমধ্যে ঘাটটির ওপর দিয়ে ব্রিজ নির্মাণ করার লক্ষ্যে মাটি পরীক্ষার কাজ সম্পন্ন হয়েছে। এখন ডিজাইন ও অর্থ বরাদ্দের পর অনুমোদন পেলেই টেন্ডার প্রক্রিয়ার মাধ্যমে কাজ শুরু করা হবে।
বিডি-প্রতিদিন/সালাহ উদ্দীন