নোয়াখালীর সুবর্ণচরে ফ্রুট ব্যাগিংয়ের মাধ্যমে অসময়ে হলুদ তরমুজ চাষ করে বেশ লাভবান হচ্ছেন কৃষকরা। বেশি মুনাফা আর রোগ বালাইয়ের হাত থেকে রক্ষা পেতে এ পদ্ধতি খুবই জনপ্রিয় হয়ে উঠেছে, আগ্রহ বাড়ছে কৃষকদের। কীটনাশক ও রোগমুক্ত হওয়ায় হলুদ তরমুজের চাহিদা রয়েছে বেশ।
নোয়াখালীর সুবর্ণচরের দক্ষিণ চর মজিদ গ্রামে ফ্রুট ব্যাগিং করা একটি তরমুজ ক্ষেতের দৃশ্য দেখা যায়। উপরে হলুদ তরমুজ আর নিচে পানিতে মাছ চাষ। গাছে গাছে ঝুলছে ব্যাগ ভর্তি তরমুজ। প্রতি কেজি তরমুজের দাম ৮০ টাকা, একটি তরমুজ দাম পড়ে ৩০০ থেকে ৪০০ টাকা।
সুবর্ণচরের চর মজিদ গ্রামের কৃষক সিরাজ কৃষি কর্মকর্তাদের সহযোগিতায় বীজ সংগ্রহ করে স্বজ্জন পদ্ধতিতে হলুদ তরমুজ চাষ করে সফল হয়েছেন। গেল বছর কৃষক সিরাজ ৫০ শতক জমিতে শসা চাষ করেন। এবারও প্রথম ৫০ শতক জমিতে স্বজ্জন পদ্ধতিতে হলুদ তরমুজ চাষ করে বেশ লাভবান হন।
নোয়াখালী কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর উপ-পরিচালক, কৃষিবিদ মো. শহীদুল হক জানান, বর্ষায় কীটনাশক ও পোকা-মাকড়ের ক্ষতিকর প্রভাব থেকে হলুদ তরমুজকে বাচাতে এই স্বজ্জন পদ্ধতি ব্যবহার করছেন কৃষকরা। গ্রীষ্মকালীন মৌসুমে স্বজ্জন পদ্ধতিতে দিন দিন কৃষকরা আরো আগ্রহী হয়ে উঠছেন বলে মনে করেন জেলা কৃষি কর্মকর্তা শহীদুল হক। এই পদ্ধতিতে কৃষি কর্মকর্তাদের সহযোগিতায় চাষ করে বেশ লাভবান হচ্ছেন তারা। একদিকে উপরে তরমুজ ও নিচে মাছ চাষ করে দুই দিকে লাভবান হচ্ছেন। স্থানীয় সুবর্ণচর উপজেলা কৃষি কর্মকর্তারা নিয়মিত খোঁজখবর ও দেখভাল করছেন কৃষকদের।
জেলা কৃষি অধিদপ্তরের প্রশিক্ষণ অফিসার আইউব মাহমুদ জানান, চলতি বছর নোয়াখালীর সুবর্ণচর ও কবিরহাটসহ জেলায় ৫ হাজার একর জমিতে এই স্বজ্জন পদ্ধতিতে হলুদ তরমুজের চাষ করছেন কৃষকরা। সাধারণত দুই মাসের মধ্যে এই ফলন ধরে এবং বিক্রি করা যায়। লাভজনক এই তরমুজ উৎপাদনে আগ্রহী হয়ে উঠছেন কৃষকরা। আমরা কৃষকদের এই বিষয়ে নিয়মিত প্রশিক্ষণ দিয়ে আসছি। আগামীতে এই পদ্ধতি আরো আশপাশে ছড়িয়ে পড়বে এমন প্রত্যাশা সকলের।
বিডি প্রতিদিন/এমআই