১৭ অক্টোবর, ২০২১ ২২:৩২

কাদের মির্জার বিরুদ্ধে যুবলীগ নেতাকে মারধরের অভিযোগ

নোয়াখালী প্রতিনিধি

কাদের মির্জার বিরুদ্ধে যুবলীগ নেতাকে মারধরের অভিযোগ

ফাইল ছবি

নোয়াখালীর কোম্পানীগঞ্জে এক যুবলীগ নেতাকে মারধর করে নিজ অনুসারীদের হাতে তুলে দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে বসুরহাট পৌরসভার মেয়র আব্দুল কাদের মির্জার বিরুদ্ধে। মারধরের শিকার আবুল কাসেম জাহাঙ্গীর (৪২) উপজেলার মুছাপুর ইউনিয়নের ২ নম্বর ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সাবেক সভাপতি ও উপজেলা যুবলীগের সদস্য। সে মমিনুল হকের ছেলে। শনিবার (১৬ অক্টোবর) সকাল ১০টার দিকে উপজেলার বসুরহাটের কাঁচা বাজারের জুবলি রোডে এ ঘটনা ঘটে। 

ভুক্তভোগী যুবলীগ নেতা জাহাঙ্গীর জানান, ছেলে মেয়ের লেখাপড়ার জন্য তিনি বসুরহাট পৌরসভা এলাকায় বাসা ভাড়া নিয়ে বসবাস করছেন। তিনি শারীরিক ভাবে খুবই অসুস্থ। বছর খানেক আগে শরীরে ওপেন হার্ট সার্জারি করা হয়েছে। এ ছাড়াও উচ্চ মাত্রার ডায়াবেটিসে আক্রান্ত। 

তিনি বলেন, এক সময় আমরা কাদের মির্জার নেতৃত্বে রাজনীতি করেছি। আমি কোনো গ্রুপে নেই। সকালে আমি কাঁচা বাজারে সবজি কিনতে যাই। এ সময় কাদের মির্জাও ওই বাজারে আসেন। এক পর্যায়ে কাদের মির্জা আমাকে দেখতে পেয়ে তার প্রতিপক্ষ উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান ও উপজেলা যুবলীগের সভাপতি আজম পাশা চৌধুরী রুমেলের দালাল বলে আমাকে গালমন্দ করে নিজে কিল, ঘুষি, লাথি মারতে থাকেন। এরপর তার সাথে থাকা অনুসারীদের হাতে আমাকে তুলে দেয় পেটানোর জন্য। তারা আমাকে একটি গলির ভিতর ঢুকিয়ে বেধড়ক কিল, ঘুষি, লাথি মেরে বেহুশ করে নগদ ছয় হাজার টাকা ও একটি স্যামস্যাং মুঠোফোন ছিনিয়ে নেয়। একপর্যায়ে অচেতন অবস্থায় স্থানীয়রা আমাকে রিকশায় উঠিয়ে বাসায় পাঠিয়ে দেয়।

জাহাঙ্গীর আরো বলেন, উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান রুমেল আমার বন্ধু। শুধুমাত্র রুমেলের সাথে আমার ব্যক্তিগত সম্পর্কের কারণে আমার ওপর এ হামলা চালানো হয়।  

অভিযোগের বিষয়ে জানতে একাধিকবার বসুরহাট বসুরহাট পৌরসভার মেয়র আব্দুল কাদের মির্জার ব্যবহৃত মুঠোফোনে যোগাযোগের চেষ্টা করেও তাকে পাওয়া যায়নি।

কোম্পানীগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো.সাইফুদ্দিন আনোয়ার জানান, এ বিষয়ে কেউ থানায় কোনো অভিযোগ করেনি। অভিযোগ পেলে আইনগত প্রদক্ষেপ নেওয়া হবে। 


বিডি প্রতিদিন/হিমেল

এই বিভাগের আরও খবর

সর্বশেষ খবর