নির্বাচনকে কেন্দ্র করে মুন্সিগঞ্জের চরাঞ্চল মোল্লাকান্দি ও বাংলাবাজাসহ পৃথক দুটি ইউপিতে আওয়ামী লীগ ও বিদ্রোহী দুইপক্ষের সংঘর্ষ, ককটেল বিস্ফোরণ, ঘরবাড়ি ভাঙচুরের ঘটনা ঘটেছে। রবিবার সকাল থেকে দফায় দফায় মোল্লাকান্দি ইউনিয়নের নোয়দ্দা, লক্ষ্মীদিবি, মহেশপুর, ঢালীকান্দিসহ কয়েকটি এলাকায় সংঘর্ষ ছড়িয়ে পরে। সংঘর্ষে আহত হয় উভয়পক্ষের ২০ সমর্থক। পুলিশ ঘটনাস্থল থেকে দুইজনকে আটক করেছে।
এদিকে একই সময় আওয়ামী লীগের দলীয় নৌকা প্রতীকের প্রার্থী সোহরাব হোসেন পীরের নেতৃত্ব সদর উপজেলার বাংলাবাজার ইউনিয়নে কাকনের মার্কেট এলাকায় স্বতন্ত্র আনারস প্রতীকের চেয়ারম্যান প্রার্থী সোহরাব হোসেন নান্নুর উপর হামলার অভিযোগ পাওয়া গেছে । এই হামলায় স্বতন্ত্র চেয়ারম্যান প্রার্থী সোহরাব হোসেন নান্নুসহ তার ১৫ কর্মী সর্মথক আহত হয়েছে।
সূত্রে জানা যায়, সকালে ইউনিয়নের নোয়াদ্দা এলাকায় নৌকা প্রার্থী রিপন পাটোয়ারীর উঠান বৈঠককে কেন্দ্র করে বিদ্রোহী প্রার্থী মোহসিনা হক কল্পনা পক্ষের সমর্থকরা হামলা চালিয়ে ঘরবাড়ি, মোটরসাইকেল ভাংচুর ও ককটেল বিস্ফোরণ ঘটায়। পরে নৌকার সমর্থকরা পাল্টা হামলা চালায়। এতে দুই গ্রুপের মধ্যে সংঘর্ষ ছড়িয়ে পরে। শতশত ককটেল বিস্ফোরণ ও গুলির ঘটনায় আতংক ছড়িয়ে পড়ে পুরো এলাকাজুড়ে। সংঘর্ষে আহত হয় উভয়পক্ষের কমপক্ষে ২০ সমর্থক। দফায় দফায় দুপুর পর্যন্ত পাল্টাপাল্টি হামলায় দুইপক্ষের শতাধিক ঘরবাড়ি ভাঙচুর চালানো হয়। পরে পুলিশ ঘটনাস্থলে উপস্থিত হয়ে ২ জনকে গ্রেফতার করে।
এদিকে নির্বাচনকে কেন্দ্র করে রবিবার দুপুরের সদর উপজেলার চরাঞ্চলের বাংলাবাজার ইউনিয়নের কাকনের মার্কেট এলাকায় গণসংযোগকালে নৌকা প্রার্থীর হামলায় স্বতন্ত্র প্রার্থী সোহরাব হোসেন নান্নুসহ তার কর্মী নুর ইসলাম (৭০) বাবু (৫০) জহিরুল ইসলাম (৩৫). খালিল (৩৫). সাদেক মোল্লা (৫১),ওলিউল্লাহ মাঝি (৩৩).মহিউদ্দিন সরকার (৭০)সহ ১৫ জন আহত হয়। আহতদের স্থানীয় ভাবে চিকিৎসা দেয়া হয়েছে। এর আগে স্বতন্ত্র প্রার্থী আনারস প্রতীকের চরবাংলাবাজার ও বেপারী কান্দি গ্রামের দুটি নির্বাচনী ক্যাম্পে ভাংচুর চালায়। এসব ঘটনায় ইউনিয়ন জুড়ে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়েছে।
প্রত্যক্ষদর্শরা জানান,দুপুরের স্বতন্ত্র প্রার্থী আনারস প্রতীকের সোহরাব হোসেন নান্নু গণসংযোগ চলাকালে নৌকার শ্লোগান দিয়ে স্বতন্ত্র প্রার্থীর উপর হামলা চালিয়ে এলোপাথারি মারধর করে। নৌকা প্রার্থী সোহরাব হোসেন পীর ও তার ছেলে হাবিব পীর নেতৃত্বে এই হামলায় স্বতন্ত্র প্রার্থীর কমপক্ষে ১৫ জন আহত হয়।
পৃথক ইউপিতে হামলা ও সংঘর্ষের ঘটনায় এখন পর্যন্ত মোল্লাকান্দি থেকে দুইজনকে আটক করা হয়েছে দাবি করে সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আবু বক্কর সিদ্দিক বলেন, ঘটনার পর পর পৃথক স্থলে পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে। বর্তমানে পরিস্তিতি শান্ত রয়েছে। এসব ঘটনার সাথে জড়িতদের দ্রুত আইনের আওতায় আনা হবে বলেও তিনি জানান।
বিডি প্রতিদিন/হিমেল