মেহেরপুরে সপ্তম শ্রেণির এক শিক্ষার্থীকে একসাথে দুইডোজ করোনার টিকা দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে।
ওই শিক্ষার্থীর নাম জেমি ইয়াসমিন। সে মেহেরপুর সদর উপজেলার শোলমারী মাধ্যমিক বালিকা বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী এবং একই গ্রামের জামিরুল ইসলামের মেয়ে।
গত ১১ ডিসেম্বর মেহেরপুর সরকারি কলেজে স্কুলশিক্ষার্থীদের টিকাদান কর্মসূচির প্রথমদিনে এমন ঘটনা ঘটে।
তবে স্বাস্থ্য বিভাগের ওই শিক্ষাথীর বিষয়ে কোনও খোঁজ খবর না নিলেও তাদের দাবি এমন টিকা গ্রহণে কোনও অসুবিধা হবে না।
জেমি ইয়াসমিন বলেন, “১১ ডিসেম্বর মেহেরপুর সরকারি কলেজে টিকা দেওয়ার জন্য যাই। এসময় মেহেরপুর সরকারি হাসপাতালের একজন নার্স এসে এক ডোজ টিকা দেন। আমি চেয়ারে বসে থাকা অবস্থায় আরেকজন নার্স এসে আরও এক ডোজ টিকা দিয়ে দেন।”
কেন দুই ডোজ নিলে- এমন প্রশ্নের জবাবে জেমি জানায়, “আমি জনাতাম না। আমি ভেবেছিলাম দুই ডোজ টিকাই নিতে হয়।”
মেহেরপুর সরকারি কলেজের যে বুথে এই টিকা দেওয়া হয়েছিল, সেখানকার দায়িত্বরত নার্সরা প্রথমে বিষয়টি স্বীকার করলেও পরে এ বিষয়ে কোনও কথা বলতে অস্বীকার করেন।
মেহেরপুর ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট জেনারেল হাসপাতালের মেডিকেল টেকনোলজিস্ট ডা. রবিউল ইসলাম বলেন, যেহেতু ৩ এমএল দেওয়ার জায়গায় ৬ এমএল টিকা দেওয়া হয়েছে। তাই কোনও পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া হলেও হতে পারে। তবে আমরা আশা করছি এ ধরনের কোনও সমস্যা হবে না।
সিভিল সার্জন ডা. জওয়াহেরুল আনাম সিদ্দিকী জানান, ১১ ডিসেম্বর প্রথম দিনে শিক্ষার্থীদের অতিরিক্ত চাপের কারণে এমন হতে পারে। তবে চিন্তার কিছু নেই এক্ষেত্রে ওই শিক্ষার্থীর কোনও সমস্যা হবে না।
বিডি প্রতিদিন/কালাম