লালমনিরহাটের সাপ্টিবাড়ি এলাকায় গরুর মাংস কেনার সময় মাংসে একটু চর্বি বেশি দেয়ায় ক্ষিপ্ত হয়ে কসাই শহিদুল ইসলামকে (৩৫) তারই দোকানের ধারালো দা দিয়ে কুপিয়ে আহত করেছিলেন কলেজ শিক্ষক হযরত আলী (৪৪)। এ ঘটনায় গত শনিবার রাতে কসাই শহিদুলের বড় ভাই সিরাজুল ইসলাম বাদী হয়ে থানায় একটি মামলা দায়ের করেন।
রবিবার (১২ ডিসেম্বর) রাতে থানা পুলিশ কসাইকে কোপানো মামলায় কলেজ শিক্ষক হযরত আলীর বাবা অভিযুক্ত ফজলু মিয়াকে নিজ বাড়ী থেকে গ্রেফতার করেছেন। এসময় মামলার মূল আসামি পলাতক থাকায় গ্রেফতার করতে পারেনি পুলিশ।
সোমবার (১৩ ডিসেম্বর) দুপুরে গ্রেফতারকৃত ফজলু মিয়াকে আদালতে পাঠানো হয়েছে বলে (ওসি) মোক্তারুল ইসলাম নিশ্চিত করেছেন। গ্রেফতার ফজলু মিয়া উপজেলার সারপুকুর ইউনিয়নের সারপুকুর চওড়াটারী গ্রামের মৃত মবেজ উদ্দিনের ছেলে। আহত মাংস বিক্রেতা শহিদুলকে (৩৫) ইসলাম এখনও লালমনিরহাট সদর হাসপাতালের ৪৪ নং বেডে চিকিৎসাধীন।
আদিতমারী থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মোক্তারুল ইসলাম বলেন, বাকি আসামি ধরতে পুলিশের অভিযান অব্যাহত রয়েছে। এর আগে আসামিদের গ্রেপ্তারের দাবিতে রবিবার দুপুরে সাপ্টিবাড়ী এলাকায় সড়ক অবরোধ ও মানববন্ধনের আয়োজন করেন ব্যবসায়ীরা।
উল্লেখ্য, ১১ ডিসেম্বর দুপুরে উপজেলার সাপ্টিবাড়ী বাজারে কসাইকে কোপানোর ঘটনাটি ঘটে।
বিডি প্রতিদিন/ফারজানা