বিলুপ্ত ছিটমহল কুড়িগ্রামের ফুলবাড়ী উপজেলার দাসিয়ার ছড়ার ফজিলাতুন্নেছা দাখিল মাদরাসার সহ-সুপার ও সভাপতিকে স্বাক্ষর জালিয়াতি ও ভুয়া সভাপতি দেখিয়ে শিক্ষক নিয়োগ দেওয়ার অভিযোগে কারাগারে পাঠিয়েছেন আদালত।
সোমবার দুপুরে এ জালিয়াতির অভিযোগে দায়েরকৃত মামলায় ওই মাদরাসার সহ-সুপার শাহ নুর আলম ও ভুয়া সভাপতি আব্দুল খালেকের জামিন আবেদন নামঞ্জুর করে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন কুড়িগ্রাম চিফ জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালত।
ওই আদালতের বেঞ্চ সহকারী হারুন-অর রশীদ এ তথ্য নিশ্চিত করেন।
শাহ নুর আলম ফুলবাড়ী উপজেলার কাশিপুর ইউনিয়নের অনন্তপুর ঘুঘুরহাট গ্রামের ময়েন উদ্দিনের ছেলে এবং আব্দুল খালেক দাশিয়ারছড়ার মৃত আজগার আলীর ছেলে বলে জানা যায়।
অভিযোগে জানা যায়, ওই মাদরাসার সহ-সুপার পদে থেকে শাহ নুর আলম নিজেকে সুপার এবং আব্দুল খালেককে সভাপতি দেখিয়ে মাদ্রাসা সুপার আমিনুল ইসলাম মিয়া ও সভাপতি আব্দুর রহমান মিয়ার অজান্তে প্রতিষ্ঠানের শিক্ষক ও কর্মচারী নিয়োগ দেন।
বিষয়টি জানতে পেয়ে প্রতিষ্ঠাতা-সভাপতি আব্দুর রহমান মিয়া চলতি বছরের জুন মাসে শাহ নুর আলম ও আব্দুল খালেকের বিরুদ্ধে জালিয়াতির অভিযোগ এনে একটি মামলা দায়ের করেন। পরে উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তাকে অভিযোগ তদন্তের নির্দেশ দিলে তদন্ত প্রতিবেদন আদালতে জমা হওয়ার পর সোমবার অভিযুক্ত সহকারী সুপার শাহ নুর আলম ও ভুয়া সভাপতি আব্দুল খালেক আদালতে হাজির হয়ে জামিন আবেদন করেন। কিন্তু আদালত তাদের আবেদন না মঞ্জুর করে জেল হাজতে পাঠান।
মাদরাসার সুপার আমিনুল ইসলাম মিয়া বলেন, আমি সুপার পদে এবং প্রতিষ্ঠাতা আব্দুর রহমান নিজে প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি হলেও সহ-সুপার নিজেকে সুপার এবং আব্দুল খালেককে ভুয়া সভাপতি দেখিয়ে ভুয়া সিল বানিয়ে প্রতিষ্ঠানে শিক্ষক কর্মচারী নিয়োগ দেন যা অবৈধ এবং প্রতারণার শামিল।
উল্লেখ্য, ছিটমহল বিনিময়ের পরপরই ২০১৫ সালে দাশিয়ারছড়ার বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুন্নেছা দাখিল মাদ্রাসা প্রতিষ্ঠিত হয়। পরে ২০২০ সালের জানুয়ারি মাসে এটি এমপিওভুক্ত করা হয়।
বিডি প্রতিদিন/কালাম