পাবনার ভাঁড়ারায় স্বতন্ত্র চেয়ারম্যান প্রার্থী হত্যার রেশ কাটতে না কাটতেই নির্বাচনী সহিংসতায় কলেজছাত্র নিহত হয়েছে। সোমবার সন্ধ্যায় সদর উপজেলার চরতারাপুর ইউনিয়নে আওয়ামী লীগ ও স্বতন্ত্র (বিদ্রোহী) প্রার্থীর সমর্থকদের সংঘাতে এ ঘটনা ঘটে। নিহত শিক্ষার্থীর নাম মোহাম্মদ নাসিম (১৮)। সে দুবলিয়া কলেজের চলতি শিক্ষাবর্ষের এইচএসসি পরীক্ষার্থী ও তারাবাড়িয়া গ্রামের নায়েব আলীর ছেলে।
এ ঘটনায় চরতারাপুর ইউনিয়নের বর্তমান চেয়ারম্যান ও আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থী রবিউল আলম টুটুল ও সুজানগর পৌর আওয়ামী লীগ সভাপতি ফেরদৌস আলম ফিরোজসহ তিনজনকে আটক করেছে পুলিশ।
নিহত নাসিমকে আনারস প্রতীকের স্বতন্ত্র প্রার্থী সিদ্দিকুর রহমান খান ও নৌকার প্রার্থী রবিউল আলমের সমর্থকরা নিজেদের কর্মী বলে দাবি করলেও সে কারো সমর্থক নয় বলে জানিয়েছে পরিবার।
নিহত নাসিমের পিতা নায়েব আলী বলেন, আমার ছেলে রাজনীতির সাথে যুক্ত নয়। বাজারে কেনাকাটা করতে গিয়েছিলো। নির্বাচনে আমার পরিবার কারো পক্ষে ছিলো না। বিনা কারণে আমার নিরীহ ছেলেকে হত্যা করা হলো। আমি কার কাছে এর বিচার চাইবো?
তবে, ঘটনায় নিজের সম্পৃক্ততা অস্বীকার করে উপজেলা চেয়ারম্যান শাহিনুজ্জামান শাহিন বলেন, আমি ব্যক্তিগত কাজে পাবনা শহরে যাবার সময়ে উত্তেজনা দেখে বাড়ি ফিরে এসেছি। সংঘর্ষে নেতৃত্ব দেয়ার অভিযোগ সত্য নয়।
সদর সার্কেলের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার রোকনউজ্জামান সরকার বলেন, পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে। মরদেহ উদ্ধার করে পাবনা জেনারেল হাসপাতাল মর্গে প্রেরণ করা হয়েছে। ময়নাতদন্তের পর আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে। এ ঘটনায় চরতারাপুর ইউনিয়নের বর্তমান চেয়ারম্যান ও আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থী রবিউল আলম টুটুল ও সুজানগর পৌর আওয়ামী লীগ সভাপতি ফেরদৌস আলম ফিরোজসহ তিনজনকে আটক করা হয়েছে। বর্তমানে পরিস্থিতি শান্ত রয়েছে।
বিডি-প্রতিদিন/সালাহ উদ্দীন