কুমিল্লার মুরাদনগর উপজেলায় বাড়ি-ঘরে নির্বিচারে হামলা ও লুটের অভিযোগ উঠেছে। এই ঘটনার একটি ভিডিও ফেসবুকে ভাইরাল হয়েছে। উপজেলার আন্দিকুট ইউনিয়নের জাড্ডা গ্রামে এই ঘটনা ঘটে। হামলার বিষয়টি সোমবার আলোচনায় আসে। গ্রামের যুবলীগ সভাপতি নুরু মিয়া ও সাবেক মেম্বার সহিদ মিয়ার বাড়িতে এই হামলা চালানো হয়। এতে ১৫-১৬জন পাঁচটি ঘর রামদা ও চাইনিজ কুড়াল দিয়ে কোপান। তাদের হামলায় আহত হন নারীসহ ৫ জন। এ ছাড়া হামলাকারীরা ঘর থেকে টাকা ও গহনা লুট করেছে বলেও অভিযোগ।
৩.৪৪ মিনিটের ভিডিওতে দেখা যায়, বেশ কয়েকজন যুবক রামদা, চাইনিজ কুড়াল হাতে বাড়িতে প্রবেশ করছেন। প্রথমে ঘরে ঢুকেন। বেরিয়ে এসে কয়েকটি ঘর নির্বিচারে কোপাচ্ছেন। হামলার সময় ঘরের ভেতর থেকে পুরুষ ও নারীদের আর্তনাদ শোনা যাচ্ছে।
সাবেক মেম্বার সহিদ মিয়ার ভাই আবদুল জলিল মাস্টার বলেন- ফারুক, মোসলেমদের সঙ্গে আমাদের জায়গা নিয়ে বিরোধ রয়েছে। দেড় বছর ধরে এ নিয়ে বিরোধ। তারা বিভিন্ন সময় আমাদের ও্পর হামলা করেছে। সর্বশেষ ৪ ডিসেম্বর ১৫-১৬জন এসে পাঁচটি ঘর রামদা ও চাইনিজ কুড়াল দিয়ে কোপায়। হামলার নেতৃত্ব দেয় ফারুকের ছেলে সিফাত, গোলাম জিলানীর ছেলে করিম ও রহিম, মোসলেমের ছেলে জুয়েল, হেলালের ছেলে রাজুসহ আরও কয়েকজন। তাদের হামলায় আহত হয় নারীসহ ৫ জন। তারা ঘরের টাকা, স্বর্ণ-গহনাও লুট করেছে। নারীদের কানের গহনাও খুলে নেয়।'
তিনি আরও বলেন, থানায় অভিযোগ দিতে গেলে ওসি বলেছেন- স্থানীয়ভাবে মীমাংসা করতে। আমরাও শান্তির স্বার্থে মামলায় যাইনি। তারা এখনো প্রাণে মেরে ফেলার হুমকি দিয়ে যাচ্ছে।
এদিকে অভিযুক্তদের ফোন বন্ধ থাকায় এ বিষয়ে তাদের বক্তব্য পাওয়া যায়নি।
গ্রামের ইউপি সদস্য লোকমান হাকিম হামলার বিষয়টি এড়িয়ে গিয়ে বলেন, এটি গ্রামের এক প্রান্তের বাড়ি। হামলার বিষয় তারা তাকে জানায়নি। ইউটিউবে দেখেছেন। মানুষের নিকট জানতে চেয়েছেন কে হামলা করেছে? কেউ হামলাকারীদের চেনে না বলে জানিয়েছেন।
বাঙ্গরা থানার ওসি কামরুজ্জামান বলেন, হামলার বিষয়টি পরে শুনেছি। এ বিষয়ে মামলা হয়নি। শুনেছি তারা বিষয়টি স্থানীয়ভাবে মীমাংসা করবেন। মীমাংসা না হলে আমরা আইনগত ব্যবস্থা নেব।
বিডি প্রতিদিন/জুনাইদ আহমেদ