সিলেটের বিশ্বনাথে গলায় ফাঁস দিয়ে এক যুবক আত্মহত্যা করেছেন। তার নাম শিপন মিয়ার ওরফে শিপু মিয়া (৩০)। শিপু উপজেলার সদর ইউনিয়নের উত্তর ধর্মদা গ্রামের কনাই মিয়ার ছেলে। আজ সোমবার বাড়ির পাশে নির্জন এলাকার রেন্টি গাছ থেকে তার ঝুলন্ত লাশ উদ্ধার করে পুলিশ। পরে ময়নাতদন্তের জন্য তার মৃতদেহ সিলেট ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের মর্গে নেওয়া হয়। রবিবার রাতের যে কোন সময় গলায় রশি পেঁচিয়ে গাছের সাথে ফাঁস নেন তিনি।
শিপুর পিতা কনাই মিয়া জানান, ছয় ছেলের মধ্যে শিপু সবার বড়। পেশায় রাজমিস্ত্রি সহকারি ছিল। ছিল তার মাদক সেবনের অভ্যাসও। মাদক মামলায় একমাস কারাভোগ করে সম্প্রতি ছাড়া পায় সে। এরপর থেকে কিছুটা অস্বাভাবিক আচরণ করছিন সবার সাথে। পরে গেল সন্ধ্যায় খাবার-দাবার শেষে বাড়ির থেকে বের হয়ে রাতে আর ঘরে ফিরেনি। পরদিন সকাল ৭টায় লোকমুখে শুনতে পেয়ে গ্রামের উত্তরের ফুটবলের মাঠের পাশে বশির মিয়ার পুকুর পাড়ে গাছের সাথে তার ঝুলন্ত লাশ দেখতে পাই। তবে, তার আত্মহননের প্রকৃত কারণ জানাতে পারেননি তিনি।
ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে বিশ্বনাথ পুলিশ স্টেশনের ওসি (তদন্ত) রমা প্রসাদ চক্রবর্তী বলেন, ভিকটিমের মৃতদেহ উদ্ধার করে সিলেট ওসমানী হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে। ময়নাতদন্তের রির্পোটের ভিত্তিতে পরবর্তী আইনানুগ ব্যবস্থা নেয়া হবে।
বিডি প্রতিদিন/এএ