নৌ পুলিশের অতিরিক্ত আইজিপি মো. শফিকুল ইসলাম বলেছেন, জাটকা রক্ষায় দুই মাসের অভয়াশ্রম চলছে। অভিযানে সক্ষমতা বাড়াতে নৌ পুলিশের পক্ষ থেকে সব ধরণের লজিস্টিক সাপোর্ট নেওয়া হবে। বুধবার দুপুরে চাঁদপুরের মতলব উত্তরের ষাটনল এলাকায় জাটকা সংরক্ষণ অভিযানের মতবিনিময় সভা ও নৌ র্যালি শেষে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি এসব কথা বলেন।
তিনি বলেন, সারা বছরই কারেন্ট জাল দিয়ে মাছ ধরা নিষিদ্ধ। কিন্তু কিছু অসাধু ব্যবসায়ী কারেন্ট জাল উৎপাদন করে থাকে। নৌ পুলিশের অভিযানে শত শত কোটি টাকার জালও জব্দ করা হয়েছে এবং হচ্ছে। আমরা স্থায়ীভাবে কারেন্ট জাল বন্ধ করার চেষ্টা করছি। এখন থেকে নৌ পুলিশ নিজেদের সক্ষমতা নিয়ে নদীতে নামবে। যাতে করে দুষ্কৃতকারীদের আটক করতে পারি।
সভায় বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন চাঁদপুরের জেলা প্রশাসক (ডিসি) অঞ্জনা খান মজলিশ, অতিরিক্ত ডিআইজি শফিকুল ইসলাম, মোল্লা নজরুল ইসলাম, চাঁদপুর নৌ অঞ্চলের পুলিশ সুপার (এসপি) মোহাম্মদ কামরুজ্জামান ও চাঁদপুর জেলা মৎস্য কর্মকর্তা গোলাম মেহেদী হাসান।
সভায় মতলব উত্তর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা গাজী শরীফ, জনপ্রতিনিধি, জেলে নেতা ও বিভিন্ন পর্যায়ের ব্যক্তিবর্গ উপস্থিত ছিলেন। সভা শুরু হওয়ার আগে মেঘনা নদীর অভয়াশ্রম এলাকার ষাটনল থেকে একটি নৌ র্যালী বের হয়। এ সময় মাইকিং করে মেঘনা উপকূলীয় এলাকার জেলে ও সাধারণ মানুষকে জাটকা রক্ষায় এগিয়ে আসার আহ্বান এবং জেলেদের জাটকা ধরা থেকে বিরত থাকার আহ্বান জানানো হয়।
প্রসঙ্গত, জাটকা রক্ষায় গত ১ মার্চ থেকে ৩০ এপ্রিল পর্যন্ত দুই মাস চাঁদপুরের মতলব উত্তর ষাটনল থেকে হাইমচর উপজেলার চরভৈরবী পর্যন্ত পদ্মা ও মেঘনা নদীর ৭০ কিলোমিটার অভয়াশ্রম এলাকায় ইলিশসহ সব ধরণের মাছ আহরণ নিষিদ্ধ। আইন অমান্যকারীদের বিরুদ্ধে ১ থেকে দুই বছরের সর্বোচ্চ কারাদণ্ড এবং ৫ হাজার টাকা জরিমানা অথবা উভয় দণ্ডের বিধান রয়েছে।
বিডি প্রতিদিন/আবু জাফর