ভাঙ্গা উপজেলার আলগী ইউনিয়নের বালিয়াচরা ও সোনাখোলা গ্রামবাসীর মধ্যে ৩ ঘণ্টাব্যাপী সংঘর্ষে কমপক্ষে ১৫ জন আহত হয়েছেন। এ সময় দুটি বাড়িতে অগ্নি সংযোগ, ৩টি বাড়িতে ভাংচুর ও লুটপাটের ঘটনা ঘটে। সংঘর্ষ থামাতে পুলিশ ১০ রাউন্ড শর্টগানের গুলি, ১০টি টিয়ারসেল ও দুটি সাউন্ড গ্রেনেড নিক্ষেপ করে। উত্তেজনা থামাতে বর্তমানে ওই এলাকায় অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন রয়েছে।
পুলিশ ও এলাকাবাসী সূত্রে জানা যায়, গত ১৫ দিন আগে দুই গ্রামের মধ্যবর্তী একটি মাঠে ক্রিকেট খেলা নিয়ে দুই গ্রামের তরুণদের মধ্যে হাতাহাতির ঘটনা ঘটে। এর পরে গত এক সপ্তাহে সোনাখোলা গ্রামের ছেলেদের হাতে হামলার শিকার হন বালিয়াচরা গ্রামের কলেজ ছাত্র আল-আমিন (২২) ও মিরহাজ শেখ (২২)। এরপর দুই গ্রামের মধ্যে উত্তেজনা চলতে থাকে।
সর্বশেষ মঙ্গলবার সকাল ৮টার দিকে দুই গ্রামের কয়েকশত গ্রামবাসী ঢাল, সড়কি, রামদাসহ দেশীয় অস্ত্র নিয়ে সংঘর্ষে লিপ্ত হয়। সংঘর্ষে কমপক্ষে ৩০ জন আহত হয়। এ সময় বালিয়াচরা গ্রামের বাসিন্দা ও বীর মুক্তিযোদ্ধা আনোয়ার হোসেন মোল্লার বাড়িসহ আকাশ মুন্সী, হান্নান শেখের বাড়ি ভাংচুর ও লুটপাটের ঘটনা ঘটে। এছাড়াও বালিয়াচরা গ্রামের হাবুল মাতুব্বর ও গফফার শেখের বাড়িতে অগ্নি সংযোগের ঘটনা ঘটে।
বালিয়াচরার বাসিন্দা ও বীর মুক্তিযোদ্ধা আনোয়ার হোসেনের ছোট ভাই এটিএম ফরহাদ নান্নু বলেন, আমাদের বাড়িতে সোনাখোলার লোকজন এসে ব্যাপক ভাংচুর ও লুটপাট করেছে। ভাঙ্গা দমকল বাহিনীর লিডার খোকন জমাদার বলেন, সংঘর্ষের ঘটনা থেকে ওই এলাকায় অগ্নি সংযোগের ঘটনা ঘটে। আমরা ঘটনাস্থলে পৌঁছে দেখি এলাকাবাসী আগুন নিয়ন্ত্রণ করেছে।
ভাঙ্গা হাসপাতালের চিকিৎসা সহকারী আক্তারুজ্জামান জানান, সংঘর্ষে আহত ৩ জন ভাঙ্গা উপজেলা হাসপাতালে ভর্তি হয়েছে। এ ব্যাপারে ভাঙ্গা থানার দ্বিতীয় কর্মকর্তা আবুল কালাম আজাদ জানান, সংঘর্ষের ব্যাপারে পুলিশের অভিযান অব্যাহত রয়েছে। সংঘর্ষে বাড়িঘর ভাংচুর ও অগ্নি সংযোগের ঘটনা ঘটেছে।
ভাঙ্গা সার্কেলের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার ফাহিমা কাদের চৌধুরী জানান, দুই গ্রামে থানা পুলিশের পাশাপাশি ফরিদপুর জেলা শহর থেকে অতিরিক্ত পুলিশ এনে মোতায়েন করা হয়েছে। বর্তমানে পরিস্থিতি পুলিশের নিয়ন্ত্রণে।
বিডি প্রতিদিন/আবু জাফর