জামায়াতে ইসলামীর সেক্রেটারি জেনারেল মিয়া গোলাম পরওয়ার বলেছেন, আগামী নির্বাচনে জামায়াত ৩০০ আসনে প্রার্থী দেওয়ার পূর্ণ প্রস্তুতি নিয়েছে। তিনি জামায়াতের প্রত্যেক কর্মীকে পূর্ণশক্তি নিয়ে নির্বাচনি মাঠে থাকার আহ্বান জানান।
গতকাল খুলনার আল ফারুক সোসাইটি মিলনায়তনে ছাত্রশিবির খুলনা মহানগরী শাখার সদস্য পুনর্মিলনী অনুষ্ঠানে এসব কথা বলেন তিনি। এতে প্রধান বক্তা ছিলেন ইসলামী ছাত্রশিবিরের সেক্রেটারি জেনারেল নুরুল ইসলাম সাদ্দাম।
নির্বাচনে অন্য দলের সঙ্গে সমঝোতা প্রসঙ্গে গোলাম পরওয়ার বলেন, ‘৩০০ আসনের সবকটি আমরা নির্বাচন করতে পারব না। যদিও আমরা ৩০০ আসনে প্রার্থী চূড়ান্ত করেছি। কিন্তু যাদের সঙ্গে ঐক্য হবে, যাদের সঙ্গে আমরা সমঝোতা করব, তাদের কিছু আসন ছাড়তে হবে। তা না হলে তো ঐক্য হবে না। এমনও হতে পারে সমঝোতা করতে শেষ পর্যন্ত আমাদের ১০০ আসন ছেড়ে দেওয়া লাগতে পারে। তার পরও কমপক্ষে ২০০ আসনে আমরা নির্বাচন করব। সে ক্ষেত্রে এমন কিছু আসন হয়তো থাকবে যেখানে সম্ভাবনা ক্ষীণ বা আগে আমরা সেখানে নির্বাচন করিনি। ফলে সুযোগ আছে সেসব আসন থেকে যেখানে আমাদের সম্ভাবনা আছে সেখানে নেতা-কর্মীদের ভোট ট্রান্সফার করে আনার।’
অনুষ্ঠানে গোলাম পরওয়ার বলেন, ‘৫৪ বছর পর মুসলিম উম্মাহর সামনে আল্লাহর দীন পার্লামেন্টে নেওয়ার অবারিত সুযোগ তৈরি হয়েছে। এ সুযোগ আর আসবে কি না আমরা জানি না।’ তিনি বলেন, ‘ইসলামী আন্দোলনের মর্যাদা ও ইসলামের নেতৃত্ব মানুষের মাঝে আল্লাহ আকাশচুম্বী জনপ্রিয়তা দিয়ে সম্মানিত করেছেন। ফ্যাসিস্টরা আমাদের গর্তে ঢোকাতে চেয়েছিল। আল্লাহ তাদের গর্তের ভিতরে দিয়ে ইসলামী আন্দোলন মর্যাদার আসনে উন্নীত করেছেন।’
তিনি বলেন, জামায়াতের প্রার্থীদের সংসদে পাঠানোর এখনই উপযুক্ত সময়। এ সময় কাজে লাগাতে যারা একসময় ছাত্ররাজনীতির সঙ্গে যুক্ত ছিলেন তাদের আরও সক্রিয় হওয়ার আহ্বান জানান তিনি। ‘সম্প্রীতির টানে শিকড়ের পানে’ স্লোগানে ব্যতিক্রমী অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন খুলনা নগর ছাত্রশিবিরের সভাপতি আরাফাত হোসেন মিলন।
গোলাম পরওয়ার সাবেক ছাত্রনেতাদের উদ্দেশে বলেন, ‘নির্বাচনের তিন-চার মাস বাকি আছে। যদি সম্ভব হয় আমাদের প্রার্থীকে বিজয়ী করতে ছুটি নিয়ে ওই এলাকায় সাংগঠনিক কাজ শুরু করেন। নির্বাচনের কত আগে ছুটি নিয়ে বাড়ি যেতে পারবেন সে বিষয়ে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেওয়ার এখনই সময়।’
মহানগরী ছাত্রশিবিরের সেক্রেটারি রাকিব হোসাইনের পরিচালনায় বিশেষ অতিথি ছিলেন জামায়াতের খুলনা অঞ্চল সহকারী পরিচালক মাওলানা আবুল কালাম আজাদ, মহানগরী আমির অধ্যাপক মাহফুজুর রহমান, খুলনা জেলা আমির মাওলানা এমরান হোসাইন, মহানগরী নায়েবে আমির অধ্যাপক নজিবুর রহমান, সেক্রেটারি অ্যাডভোকেট শেখ জাহাঙ্গীর হুসাইন হেলাল।