সিন্ডিকেট ভাঙতে রাজধানীর পূর্বাচলে চালু হচ্ছে ‘কৃষকের বাজার’। সব ধরনের কৃষিপণ্য থেকে শুরু করে এ বাজারে মিলবে মাছ, মাংস, ব্রয়লার মুরগি, সুপারশপসহ বিভিন্ন ধরনের ফুডকোর্ট। সরাসরি বাজারের পাশাপাশি অনলাইনেও এ বাজারের সুবিধা মিলবে। ইতোমধ্যে ১৫ হাজার কৃষক এবং ১৮ হাজার পোলট্রি খামারি এ বাজারের সঙ্গে যুক্ত হয়েছে। অন্যান্য বাজারের তুলনায় প্রায় ২০ শতাংশ কম দামে পণ্য মিলবে এ বাজারে। ১০ অক্টোবর রাজধানীর পূর্বাচল ৩০০ ফিট সড়কের পাশে পুলিশ হাউজিং গেটসংলগ্ন ১২ বিঘা জায়গাজুড়ে এ বাজার শুরু হবে।
কৃষকের বাজারের উদ্যোক্তারা জানান, ইতোমধ্যে প্রায় ১৫ হাজার কৃষক এবং ১৮ হাজার পোলট্রি খামারি এ বাজারের সঙ্গে যুক্ত হয়েছে। এসব কৃষক সরাসরি আলু, পিঁয়াজ, শাকসবজি, ফল, মাছ, মাংস, ডিম ও মুরগি বিক্রি করবেন। এতে তারা ন্যায্যমূল্য পাবে এবং ভোক্তারা সহজে তাজা ও সাশ্রয়ী পণ্য সংগ্রহ করতে পারবে। বাজারে চারটি বড় শেডের অধীনে প্রায় ৫০০ আড়ত থাকবে। থাকবে পাইকারি ও খুচরা বিক্রির ব্যবস্থা। আধুনিক প্রযুক্তি ব্যবহার করে চালু হচ্ছে স্মার্ট বাজার ব্যবস্থাপনা। থাকবে নিজস্ব মোবাইল অ্যাপ ও ওয়েবসাইট। অনলাইনে অর্ডারের সঙ্গে রয়েছে ফ্রি হোম ডেলিভারি। এর জন্য প্রস্তুত রাখা হয়েছে ৫০টির বেশি পিকআপ ভ্যান ও শতাধিক মোটরসাইকেল। বাজারে থাকবে সুপারশপ এবং ৫০টির বেশি স্বাস্থ্যসম্মত উন্নতমানের ফুডকোর্ট। অন্যান্য বাজারের তুলনায় কৃষকের বাজারে ১৫ থেকে ২০ শতাংশ কম দামে পণ্য কিনতে পারবে ক্রেতা। কম দামের জন্য যেতে হবে না যাত্রাবাড়ী, কারওয়ান বাজার। কৃষকের বাজারের অন্যতম উদ্যোক্তা, বাংলাদেশ পোলট্রি অ্যাসোসিয়েশনের (বিপিএ) সভাপতি মো. সুমন হাওলাদার বলেন, ‘সিন্ডিকেট ভেঙে বাজারের সাপ্লাই চেইন উন্নয়নে আমরা কাজ করে যাচ্ছি। এ বাজার শুধু একটি ব্যবসায়িক উদ্যোগ নয়, বরং একটি সামাজিক আন্দোলন, যার মূল লক্ষ্য কৃষকের মুখে হাসি ফোটানো এবং ভোক্তার ঘরে স্বস্তি পৌঁছে দেওয়া।’
সম্প্রতি এ বাজার চালুর লক্ষ্যে প্রান্তিক প্রাঙ্গণে কৃষক ও খামারিদের সঙ্গে মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত হয়। সভায় উপস্থিত ছিলেন জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরের সাবেক মহাপরিচালক, কনজুমারস অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশের (ক্যাব) সভাপতি এ এইচ এম সফিকুজ্জামান। তিনি বলেন, ‘আমাদের লক্ষ্য বাজারে মধ্যস্বত্বভোগীর প্রভাব কমিয়ে প্রান্তিক কৃষক ও খামারিদের উৎপাদিত পণ্যের ন্যায্যমূল্য নিশ্চিত করে ভোক্তাদের জন্য স্বস্তি ফিরিয়ে আনা। কৃষক ও ভোক্তার মধ্যে সরাসরি সংযোগ স্থাপন করা। দেশের খাদ্য নিরাপত্তা ও ন্যায্য বাজারব্যবস্থা এবং সাপ্লাই চেইন উন্নয়ন নিশ্চিত করা আমাদের মূল উদ্দেশ্য।’