কিশোরগঞ্জ-৫ (বাজিতপুর-নিকলী) আসনে বিএনপির মনোনয়নপ্রত্যাশী হলেন কেন্দ্রীয় নির্বাহী কমিটির সদস্য, জেলা বিএনপির সহসভাপতি, বাজিতপুর উপজেলা বিএনপির সভাপতি শেখ মজিবুর রহমান ইকবাল; বাজিতপুর পৌর বিএনপির সভাপতি, সাবেক পৌর মেয়র মো. এহেসান কুফিয়া; সাবেক সংসদ সদস্য প্রয়াত মজিবুর রহমান মঞ্জুর ছেলে, বাজিতপুর উপজেলা বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক মো. মোস্তাফিজুর রহমান মামুন। তবে নির্বাচনি এলাকায় মজিবুর রহমান ইকবালের জনপ্রিয়তা অনেক বেশি। এ ছাড়া রাষ্ট্র সংস্কার আন্দোলনের প্রধান সমন্বয়ক অ্যাডভোকেট হাসনাত কাইয়ুম, বাংলাদেশ জাতীয় দলের চেয়ারম্যান সৈয়দ এহসানুল হুদা, জামায়াতে ইসলামীর জেলা আমির মো. রমজান আলী নির্বাচন করবেন। তাঁরা সবাই বিজয়ী হবেন বলে আশাবাদী।
বিএনপির কেন্দ্রীয় নির্বাহী কমিটির সদস্য শেখ মজিবুর রহমান ইকবাল বলেন, ‘আমি আন্দোলন সংগ্রামে পরীক্ষিত নেতা। ফ্যাসিস্ট সরকারের রক্তচক্ষু উপেক্ষা করে জীবন বাজি রেখে রাজপথে আন্দোলন করেছি। শুধু তাই নয়, প্রাকৃতিক দুর্যোগের সময় ত্রাণসামগ্রী নিয়ে মানুষের দ্বারে দ্বারে গিয়েছি। আমাদের নেতা তারেক রহমানের ৩১ দফা ব্যাপকভাবে প্রচার করছি। মনোনয়ন পেলে হারানো আসনটি বিএনপিকে উপহার দিতে পারব ইনশাল্লাহ।’
বাজিতপুর পৌর বিএনপির সভাপতি মো. এহেসান কুফিয়া বলেন, ‘দল যেহেতু নির্দেশনা দিয়েছে ক্লিন ইমেজের লোক মনোনয়ন দেবে, ৫ আগস্টের পর যারা কোনো অপরাধে জড়ায়নি তাদের মূল্যায়ন করা হবে; এ বিবেচনায় দল আমাকে মনোনয়ন দেবে বলে আশাবাদী।’
বাজিতপুর উপজেলা বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক মো. মোস্তাফিজুর রহমান মামুন বলেন, ‘সব শ্রেণি-পেশার মানুষ আমার বাবা ও আমাদের পরিবারকে ভালোবাসে। একাধিকবার কারাবরণ করেছি। মনোনয়ন দিলে বাবার মতোই আসনটি উপহার দিতে পারব ইনশাল্লাহ।’
রাষ্ট্র সংস্কার আন্দোলনের প্রধান সমন্বয়ক অ্যাডভোকেট হাসনাত কাইয়ুম বলেন, ‘আমাদের অঞ্চল ৫৩ বছর যাবৎ বঞ্চিত। এসব দাবিতে জনগণ থেকে প্রচুর সাড়া পাচ্ছি। নির্বাচনেও সুফল পাব।’
বাংলাদেশ জাতীয় দলের চেয়ারম্যান সৈয়দ এহসানুল হুদা বলেন, ‘আমি ধানের শীষ নিয়ে নির্বাচন করতে চাই। যুগপত আন্দোলনে যারা ছিলাম, তাদের মধ্যে একটা নির্বাচনি জোট হবে এবং এটা কমিটমেন্ট। জোট হলেও ধানের শীষ প্রতীক নিয়েই নির্বাচন করব।’
জামায়াত নেতা মো. রমজান আলী বলেন, ‘মানুষ এখন আর গতানুগতিক চিন্তার মধ্যে নেই। দেশকে গড়ে তোলার চিন্তাই মানুষ করছে।’