শেরপুর জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক আলহাজ্ব হযরত আলী ও যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক সফিকুল ইসলামের সমর্থকদের মধ্যে সংঘর্ষে ঘটনা ঘটেছে। এতে জেলা ছাত্রদলের সাধারণ সম্পাদক নিয়ামুল হাসান আনন্দসহ অন্তত ১৫ দলীয় নেতাকর্মী আহত হয়েছেন।
মঙ্গলবার দুপুর ১টায় ডিসিগেইট মোড়ে থেকে বটতলা পর্যন্ত আধাঘণ্টা ব্যাপী এই সংঘর্ষ হয়। আহতদের মধ্যে তিনজন জেলা হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন। বাকীরা কেউ কেউ বেসরকারি ক্লিনিকে ও প্রাথমিক চিকিৎসা নিয়েছেন। গুরুতর আহতরা হলেন- যুবদল নেতা আশরাফুল, রনি, কলেজ ছাত্রদলের আহ্বায়ক জাকির হোসেন ও স্বেচ্ছাসেবক দলের আহ্বায়ক মনির হোসেন।
প্রত্যক্ষদর্শী ও বিএনপি নেতাকর্মী সূত্রে জানা গেছে, কমিটির পদ-পদবী ও দলে প্রভাব বিস্তার করা নিয়ে বিএনপিতে দুটি গ্রুপ সক্রিয় রয়েছে। আজ বিএনপির কেন্দ্রীয় কর্মসূচির অংশ হিসেবে দ্রব্য মূল্যের ঊর্ধ্বগতির প্রতিবাদে বিএনপি এবং অঙ্গ ও সহযোগী সংগঠনের নেতাকর্মীরা জেলা প্রশাসকের কাছে স্মারকলিপি দেওয়ার কথা। ঘটনার আগে দুই গ্রুপ আলাদা আলাদা ভাবে নিজ নিজ নেতা সমর্থক নিয়ে জেলা প্রশাসক চত্বরে জমায়েত হতে থাকেন। দুই গ্রুপ মুখোমুখি হলে কথাকাটাকাটি ও উত্তেজনার সৃষ্টি হয়।
পরে সিনিয়র নেতৃবৃন্দের সহযোগিতায় হাতাহাতি বন্ধ হলে তারপর জেলা প্রশাসক মো. মোমিনুর রশীদের হাতে স্মারক লিপি প্রদান করেন নেতৃবৃন্দরা। স্মারকলিপি দেওয়া শেষ হলে জেলা প্রশাসকের সিঁড়িতেও আবারও উত্তেজনার সৃষ্টি হয়। দুই গ্রুপ জেলা প্রশাসকের অফিসেই মারামারিতে উদ্যত হলে পুলিশ শান্তভাবে অফিস প্রাঙ্গণ ত্যাগ করতে বলে। অফিস থেকে বের হয়ে জেলা প্রশাসকের মূল গেইটে আসতেই দুপক্ষ মারামারিতে লিপ্ত হয়ে যায়। এতে দুই পক্ষের অন্তত ১৫ জন আহত হন।
এ ঘটনায় শেরপুর জেলা বিএনপির সভাপতি মাহমুদুল হক রুবেলের সাথে মুঠোফোনে যোগাযোগ করার চেষ্টা করেও তাকে পাওয়া যায়নি। তবে নাম প্রকাশ না করার শর্তে বিএনপির একাধিক নেতা বিষয়টিকে দুঃখজনক বলেছেন। সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা ওসি মনসুর আহমেদ জানান, পরিস্থিতি পুলিশের নিয়ন্ত্রণে আছে। মামলা হয়নি। মামলা হলেই ব্যবস্থা।
বিডি প্রতিদিন/আবু জাফর