বাগেরহাটের মোংলা উপজেলার পল্লীতে মদ খেয়ে যুবতির ঘরে ঢুকে তাকে মারধরের ঘটনায় এক ইউপি মেম্বারের ছেলেকে আটক করেছে পুলিশ। মঙ্গলবার দিবাগত রাত ১ টায় উপজেলার কাইনমারী এলাকার বাসিন্দা গিলবাট সরদারের ঘর থেকে তাকে আটক করা হয়।
আটকৃত যুবক চাঁদপাই ইউনিয়নের ৭ নম্বর ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য (মেম্বার) মো. সুলতান হাওলাদারের ছেলে হাসান ওরফে জাকির হাওলাদার।
মোংলা থানার ওসি মোহাম্মদ মনিরুল ইসলাম বলেন, মঙ্গলবার দিবাগত রাতে জাতীয় জরুরি সেবা ৯৯৯ নম্বরে ফোন দেন চাঁদপাই ইউনিয়নের কানাইমারী এলাকার বাসিন্দা গিলবাট সরদারের যুবতি মেয়ে চাদনি সরদার (২২)। মদ খেয়ে ওই মেয়ের ঘরে ঢুকে তাকে মারধর করা হচ্ছে এমন খবরেই ঘটনাস্থলে গিয়ে জাকিরকে পুলিশ আটক করে।
ওই যুবতির চাচা ডেবিট সরদার বলেন, ইউপি মেম্বর সুলতানের ছেলে জাকির মদ খেয়ে আমাদের ঘরে ঢুকে উত্যাক্ত করে। ঘটনার দিন মঙ্গলবার একইভাবে ঘরে এসে তার ভাইজিকে মারধর এবং ধর্ষণের চেষ্টা চালায়। পরে সে পুলিশের জরুরি সেবা ৯৯৯ নম্বরে কল দিলে পুলিশ এসে জাকিরকে মদ্যপ অবস্থায় আটক করে থানায় নিয়ে যায়।
তবে মোংলা থানার ওসি মোহাম্মদ মনিরুল ইসলামের দাবি, ভুক্তভোগী ধর্ষণের অভিযোগ না দেওয়ায় আসামি জাকিরকে ৩৪ ধারায় মঙ্গলবার দুপুরে বাগেরহাট আদালতে পাঠানো হয়েছে।
এদিকে কানাইমারী এলাকার একাধিক বাসিন্দা বলেন, ৯৯৯ নম্বরে কল দিয়ে ধর্ষণ চেষ্টার অভিযোগ করা হয়। কিন্তু ইউপি মেম্বার সুলতান হাওলাদার মঙ্গলবার (২২ মার্চ) ভোরে ওই মেয়ের বাড়িতে এসে তাকে এবং তার বাবাকে থানায় গিয়ে এ বিষয়ে কিছু না বলতে ভয়ভীতি দেখায়। একই সাথে সরকারি কোনো সাহায্য আসলে তাদেরকে না দেওয়ার হুনকি দেয় মেম্বর সুলতান। এজন্য ভুক্তভোগী পরিবার থানায় ওসির কাছে কোনো কিছু বলেনি।
বিডি প্রতিদিন/হিমেল