বৃষ্টি না হওয়ায় তীব্র দাবদাহে পুড়ছে বাগেরহটের প্রাণ-প্রকৃতি। প্রতিদিন ৩৮ থেকে ৩৯ ডিগ্রির উপরে তাপমাত্রা বিরাজ করছে বাগেরহাট জেলাজুড়ে। দাবদাহ আর তীব্র গরমে অতিষ্ঠ হয়ে পড়েছে এখানকার জনজীবন। সূর্যের প্রখর তাপে সাধারণ মানুষের জীবন অতিষ্ঠ।
প্রচণ্ড রোদে ঘর থেকে বের হতে পারছে না শ্রমিক ও দিনমজুরসহ খেটে খাওয়া সাধারণ মানুষ। এসব খেটে খাওয়া মানুষ সামান্য স্বস্তি ও শরীর শীতল করতে ছুটছে গাছের ছায়াতলে। অতিরিক্ত গরমে শিশুরা ছুটছে বিভিন্ন শরবত ও পানীয়ের দোকানে। কোথাও কোথাও পুকুরে নেমে পড়ছে শিশুসহ সব বয়সী মানুষ।
মঙ্গলবারও প্রচণ্ড দাবদাহের কারণে মোংলার রাস্তাঘাটে লোকজন অন্যান্য সময়ের তুলনায় অনেক কম। ঈদ সামনে থাকলেও দিনের বেলায় শহরের দোকানপাট ও রাস্তাঘাট ছিল অনেকটা ফাঁকা। খুব বেশি প্রয়োজন ছাড়া লোকজন ঘর থেকে বের হচ্ছে না।
শহরের দিনমজুর আব্দুল কাউয়ূম, এনায়েত হোসেন ও খলিলুর রহমান বলেন, প্রচণ্ড গরমে কাজ করা যাচ্ছে না। দিন খেটে দিন খাই। গরমে বসে থেকে জীবিকা চলে না। কি করব বুঝে উঠতে পারছি না।
দাবদাহের প্রভাব মানুষের পাশাপাশি প্রভাব পড়েছে চিংড়ি চাষেও। চরম ঝুঁকিতে রয়েছে জেলার বেশির ভাগ মানুষের আয়ের উৎস সাদা সোনাখ্যাত বাগদা চিংড়ি শিল্প।
এ বিষয়ে মোংলা উপজেলার মৎস্য কর্মকর্তা মোহাম্মদ জাহিদুল ইসলাম বলেন, অতিরিক্ত গরমে ঘেরের চিংড়ি মাছ অক্সিজেন ফেল করে মরে ভেসে ওঠে। এর থেকে পরিত্রাণ পেতে পুকুর ও মাছের ঘেরে গাছের ডাল পুঁতে রেখে ছায়ার ব্যবস্থা করতে চিংড়ি চাষিদের পরামর্শ দেওয়া হয়েছে। যাতে করে মাছের ঘেরে অক্সিজেন তৈরি হয়।
বাগেরহাট ২৫০ বেড হাসপাতালের তত্ত্বাবধায়ক ডা. অসিম কুমার সমদ্দার জানান, তীব্র দাবদাহে পানি স্বল্পতাসহ হিট স্ট্রোকের ঝুঁকি রয়েছে। বাড়ছে ডায়রিয়াসহ পানিবাহিত রোগ। তাই তীব্র দাবদাহে শিশু, বৃদ্ধ এবং রোজাদারদের খুব জরুরি কাজ ছাড়া বাইরে বের না হওয়ার পরামর্শ দিয়েছেন চিকিৎসক।
বিডি প্রতিদিন/এমআই