নোয়াখালীর কবিরহাট উপজেলার ৭নং বাটইয়া ইউনিয়ন পরিষদ থেকে (ভিজিএফ) অর্থাৎ রিলিফের ৪০ বস্তা চাল ইউপি চেয়ারম্যানের যোগসাজসে গায়েব হওয়ার অভিযোগ উঠেছে। মঙ্গলবার সকালে এ ঘটনা ঘটে। জানা গেছে, ইউনিয়ন পরিষদে রিলিফের ৪২০ বস্তা চাল থাকার কথা থাকলেও রয়েছে ৩৮০ বস্তা। সকালে এ ঘটনায় ইউনিয়ন পরিষদের পাহারাদার গ্রাম পুলিশ মো. হারুনকে অভিযুক্ত করেন ইউপি চেয়ারম্যান। পরে তাকে আটক করে পুলিশে সোপর্দ করেন বলে জানান তিনি। তবে কবিরহাট ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা রফিকুল ইসলাম এ আটকের অভিযোগ অস্বীকার করেন।
স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মো. জসিম উদ্দিন শাহীনের যোগসাজশে তার লোকজন পাহারাদারকে দিয়ে দরিদ্রদের জন্য বরাদ্দের চাল আত্মসাতের উদ্দেশ্যে সরিয়ে নিয়েছেন বলে অভিযোগ উঠেছে। এখন বিষয়টি জানাজানি হলে পাহারাদারের ওপর দোষ চাপিয়ে দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে। তবে ৭নং বাটইয়া ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান মো. জসিম উদ্দিন শাহীন ৪০ বস্তা চাউল গায়েবের ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করলেও তিনি এ ঘটনার সাথে জড়িত গ্রাম পুলিশকে অভিযুক্ত করছেন। বিষয়টি জানাজানি হলে প্রশাসনের টনক নড়ে এবং তারা (উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা) এর তদন্ত করছেন এবং মাল গণনা করছেন বলে জানান। ইউপি চেয়ারম্যান জসিম উদ্দিন শাহীন বলেন, গ্রাম পুলিশ হারুন গত ২৪শে এপ্রিল বসুরহাট গুদাম থেকে আনার সময় ৪০ বস্তা চাউল গায়েব করেছে। তবে আমি পরিষদের সকল চাউলের বস্তাগুলো আনার পর গণনা করে দেখিনি, এটা আমার ভুল হয়েছে।
কবিরহাট থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. রফিকুল ইসলাম বলেন, বিষয়টি মৌখিকভাবে শুনেছি। কেউ অভিযোগ দেয়নি। আটকের বিষয়েও তিনি অস্বীকার করে বলেন, অভিযোগ পেলে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
কবিরহাট উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মো. আতিকুল মামুন বলেন, অভিযোগ পেয়েছি। অভিযোগের বিষয়ে তদন্তের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে এবং তদন্ত চলছে চাউল গণনা চলছে। অভিযুক্ত যেই হোক তার বিরুদ্ধে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
বিডি প্রতিদিন/হিমেল