রংপুরের পীরগঞ্জে নিখোঁজের ৩দিন পর এক স্কুলছাত্রের লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ। হত্যার অভিযোগে রাতেই এক কিশোরকে গ্রেফতার করা হয়েছে। মঙ্গলবার দিবাগত রাত ১টায় উপজেলার চৈত্রকোল ইউনিয়নের পালগড় গ্রাম সংলগ্ন ঘর থেকে ওই লাশ উদ্ধার করা হয়।
এলাকাবাসী ও পুলিশ জানা গেছে, পালগড় গ্রামের শাহ আলম মিয়ার ছেলে ও শাল্টি সমস দিঘী আদর্শ উচ্চ বিদ্যালয়ের ষষ্ঠ শ্রেণি পড়ুয়া ছাত্র নাইফুল ইসলাম। তাকে প্রতিবেশী আব্দুস সালাম এর পুত্র সামিউল ইসলাম গত ২৩ এপ্রিল বিকালে বাড়ি থেকে ডেকে নিয়ে যায়। ওইদিন থেকেই নিখোঁজ নাইফুল। নাইফুল ও সামিউলের মধ্যে বন্ধুত্ব ছিল। করোনাকালীন স্কুল বন্ধ থাকায় দুই বন্ধু মিলে স্থানীয় ইটভাটায় শ্রমিকের কাজও করেছিল।
নাইফুলের নিখোঁজের বিষয়ে সামিউলের কথাবার্তা ও আচরণ সন্দেহজনক মনে হলে পুলিশে খবর দেওয়া হয়। প্রাথমিক পর্যায়ে পুলিশ তাকে আটক করে জিজ্ঞাসাবাদ করায় সে নাইফুল হত্যার বর্ণনা দেয়। সামিউলের দেয়া তথ্যের ভিত্তিতে পুলিশ পালগড় গ্রাম সংলগ্ন মেঝেতে পুঁতে রাখা নাইফুলের লাশ উদ্ধার করে।
পুলিশ স্থানীয়দের বরাত দিয়ে জানায়, সামিউল নেশায় আসক্ত। নাইফুল নিখোঁজ হওয়ার রাতে সামিউল তাদের অগভীর নলকূপ ঘরে নাইফুলকে ডেকে নিয়ে যায় এবং গভীর রাত পর্যন্ত নেশা করে। এক পর্যায়ে নাইফুল অচেতন হয়ে পড়লে সামিউল তাকে রেখেই বাড়ি চলে আসে। পরদিন সন্ধ্যা পর্যন্ত নাইফুলকে অচেতন অবস্থায় দেখতে পেয়ে তাকে জাগানোর চেষ্টা করে ব্যর্থ হয়। অবস্থা বেগতিক দেখে সে নাইফুলকে শ্বাসরোধে মৃত্যুনিশ্চিত করে মেঝেতে লাশ পুঁতে রাখে।
সহকারি পুলিম সুপার সার্কেল বি কামরুজ্জামান জানান, এ ঘটনায় নিহতের পিতা মামলা করেছেন। একজনকে গ্রেফতার করা হয়েছে।
বিডি প্রতিদিন/ফারজানা