ঈদের ছুটে গ্রামের বাড়িতে যাচ্ছে দক্ষিণাঞ্চলের ঘরমুখো মানুষ। ঈদ করার উদ্দেশে আগে রওনা দিয়েও নির্বিঘ্নে পদ্মা পাড়ি দিতে পারেননি দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের লোকজন। বৃহস্পতিবার সকাল থেকে ঘরমুখো মানুষের চাপ বেড়েছে মুন্সীগঞ্জের শিমুলিয়াঘাটে। সেই প্রভাব পড়েছে মাদারীপুরের বাংলাবাজার ও শরীয়তপুরের মাঝিরঘাটেও।
অন্যান্য বছর মুন্সিগঞ্জের শিমুলিয়া ঘাট পাড় হয়ে যাত্রীরা মাদারীপুরের বাংলাবাজার ঘাটে আসতো। চলতি বছর দক্ষিণাঞ্চলের যাত্রীদের সুবিধার্থে শরীয়তপুরের মাঝির ঘাটেও ফেরি সার্ভিস চালু করা হয়েছে। এতে করে যাত্রীদের ভোগান্তি কিছুটা লাঘব হয়েছে। মাদারীপুরের বাংলাবাজার ও শরীয়তপুরের মাঝিরঘাট চালু থাকায় অন্যান্য বছরে তুলনায় চাপ কম দক্ষিণপাড়ে।
রাজধানী ঢাকার সঙ্গে দক্ষিণাঞ্চলের প্রবেশদ্বার খ্যাত মাদারীপুরের বাংলাবাজার-শিমুলিয়া নৌরুটে শুক্রবার থেকে ২৪ ঘণ্টা ৬টি ফেরি চলবে। তবে ঈদকে সামনে রেখে ফেরিতে যানবাহনের চাপ না বাড়ায় ঘাটের পরিস্থিতি এখনও সহনীয় পর্যায়ে রয়েছে।
বিআইডব্লিউটিসির বাংলাবাজার ঘাটের ব্যবস্থাপক মো. সালাহউদ্দীন আহমেদ জানান, এখনও চাপ শুরু হয়নি। শুক্রবার থেকে ফেরিতে চাপ শুরু হবে। দশটি ফেরি নিয়মিত চলাচল করবে নৌরুটে। এ বছর সব নৌযান চলাচল করায় এবং দক্ষিণপাড়ে দুটি ঘাট চালু থাকায় যাত্রীদের চাপ কিছুটা সহনীয় থাকবে বলে মনে হচ্ছে।
বাংলাবাজার ঘাটে দায়িত্বরত ট্রাফিক পুলিশের সার্জেন্ট আসিফ বলেন, ঘরমুখো মানুষের দুর্ভোগ নিরসনে ঘাট এলাকায় ট্রাফিক পুলিশের পক্ষ থেকে সব ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। ফেরি চলাচল স্বাভাবিক থাকলে যানবাহন নিয়ে ঘরমুখো মানুষ নির্বিঘ্নে বাড়ি ফিরতে পারবে বলে আশা করছি। এখনও ঘাট এলাকায় তেমন চাপ নেই।
হাইওয়ে পুলিশের মাদারীপুর জোনের পুলিশ সুপার মো. হামিদুল আলম বলেন, ঈদে ঘরমুখো মানুষের যাত্রা নির্বিঘ্ন করতে আমরা ইতোমধ্যে সব প্রস্তুতি নিয়েছি। আইনশৃঙ্খলা রক্ষার্থে মহাসড়কে আমাদের পর্যাপ্ত পেট্রল টিম থাকবে। সড়কের গুরুত্বপূর্ণ স্থানে হাইওয়ে পুলিশের টিম কাজ করবে। ঘাট এলাকায় ওয়াচ টাওয়ার করেছি পর্যবেক্ষণের জন্য। আশা করি যাত্রীরা ভোগান্তি ছাড়াই বাড়ি ফিরতে পারবেন।
বিডি প্রতিদিন/আবু জাফর