দীর্ঘ ৬ বছর খাল থেকে এক কলস পানিও সংগ্রহ করতে পারিনি। এমনকি চাষ করতে পারিনি রবিশস্য। স্থানীয় একটি চক্র খালে বাঁধ দিয়ে লবণ পানি ঢুকিয়ে মাছ চাষ করায় কৃষকদের ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে। খালটি উন্মুক্ত হওয়ায় কৃষকরা অনেক উপকৃত হবে। এমন কথা বলেছেন পটুয়াখালীর কলাপাড়া উপজেলার টিয়াখালী ইউনিয়নের বাদুরতলী খালের দুই পাড়ের বাসিন্দারা।
বৃহস্পতিবার দুপুরে খালের তিন পয়েন্টের বাঁধ কেটে দিয়েছে উপজেলা প্রশাসন। এ সময় খালের পড়ে মাছের ঘের পাহারা দেয়ার একটি ঘর গুড়িয়ে দেয়া হয়েছে। জেলা প্রশাসকের নির্দেশে উপজেলা প্রশাসন এ খালটির ওইসব বাঁধ কেটে জনসাধারণের জন্য উন্মুক্ত করে দেয়ায় খুশিতে আত্মহারা কৃষকসহ ভুক্তভোগীরা।
স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, উপজেলা পরিষদের সম্মুখে বাদুরতলী খাল উন্মুক্তের দাবিতে বুধবার দুপুরে মানববন্ধনে দাঁড়ায় টিয়াখালী ইউনিয়নের শত শত কৃষক। জেলা প্রশাসক ভূমিহীন ও গৃহহীন (ক-শ্রেণি) পরিবারের শতভাগ পুনর্বাসন পর্যালোচনা সংক্রান্ত মতবিনিময় সভা শেষে গাড়িতে উঠতেই চোখে পড়ে এসব কৃষকদের। এ সময় তিনি তাদের কাছে গেলে কৃষকরা জানান দুঃখ-দুর্দশার কথা। বিষয়টি শুনে জেলা প্রশাসক সঙ্গে সঙ্গে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তাকে খালটি ২৪ ঘণ্টার মধ্যে উন্মুক্তের নির্দেশ দেয়।
খাল লাগোয়া কৃষক আবদুল খালেক হাওলাদার জানান, এ খালটি উন্মুক্ত হয়েছে। এখন থেকে কৃষকদের মিষ্টি পানির আরও কোনো সমস্যা হবে না। চাষ করতে পারে রবিশস্য। উপকৃত হবে খালের দুই পাড়ের বাসিন্দারা। টিয়াখালী ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান মো. মাহমুদুল হাসান সুজন মোল্লা জানান, এলাকার জনগণের দীর্ঘ দিনের দাবি ছিল খালটি উন্মুক্ত করা। জেলা প্রশাসকের নির্দেশে বাদুরতলী খালটির তিনটি বাঁধ অপসারণ করেন কলাপাড়া উপজেলা প্রশাসন। এর ফলে জনগণের বড় একটি আশাপূরণ হয়েছে।
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা আবু হাসনাত মোহাম্মদ শহিদুল হক বলেন, জেলা প্রশাসকের নির্দেশে ওই খালটি উন্মুক্ত করা হয়েছে। ভবিষ্যতে সকল সরকারি খাল যেন দখল না হয় সেদিকে দৃষ্টি থাকবে বলে তিনি সাংবাদিকদের জানিয়েছেন।
বিডি প্রতিদিন/আবু জাফর