নোয়াখালীর বৃহত্তর বাণিজ্যকেন্দ্র চৌমুহনীতে ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডে প্রায় শতাধিক ব্যবসা প্রতিষ্ঠান পুড়ে ছাই হয়ে গেছে। এ সময় আগুন নিয়ন্ত্রণে কাজ করতে গিয়ে দোকানিসহ স্থানীয় অন্তত ১০জন আহত হয়েছেন। তারা ২৫০ শয্যা নোয়াখালী জেনারেল হাসপাতাল ও ৫০ শয্যা বেগমগঞ্জ স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসাধীন রয়েছে। আগুন লাগার খবর শুনে এ সময় এক ব্যবসায়ী হৃদ যন্ত্রের ক্রীড়া বন্ধ হয়ে মারা যায়।
বৃহস্পতিবার ইফতারের পর সন্ধ্যা সাড়ে ৬টার দিকে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটে। খবর পেয়ে বেগমগঞ্জ, মাইজদী, সোনাইমুড়িসহ ফায়ার সার্ভিসের ৯টি ইউনিট স্থানীয়দের সহায়তায় প্রায় ৫ ঘণ্টা চেষ্টার পর রাত সাড়ে ১২টায় আগুন নিয়ন্ত্রণে আনে।
ফায়ার সার্ভিস ও ব্যবসায়ীরা জানান, সন্ধ্যা সাড়ে ৬টার দিকে চৌমুহনী রেলওয়ে মার্কেটের একটি দোকান থেকে আগুনের লেলিহান দেখা দেয়। মুহূর্তের মধ্যে আগুন ছড়িয়ে পড়ে। খবর পেয়ে বেগমগঞ্জ দমকল বাহিনীর দুটি ইউনিট আগুন নিয়ন্ত্রণের চেষ্টা করে ব্যর্থ হয়। পরে জেলা শহর মাইজদী, সোনাইমুড়ি, সেনবাগসহ দমকল বাহিনীর ৮টি ইউনিট আগুন নিয়ন্ত্রণে যোগ হয়। তাদের সঙ্গে সহায়তা করে রেডক্রিসেন্টসহ বিভিন্ন স্বেচ্ছাসেবী সংগঠনের সদস্য ও স্থানীয়রা। কিন্তু ততক্ষণে আগুনে অন্তত আড়াইশ দোকান পুড়ে যায়। সড়কগুলো সরু হওয়ায় এবং পানির ব্যবস্থা অপ্রতুল হওয়ায় আগুন নিয়ন্ত্রণে বেগ সময় ক্ষেপন হয়েছে বলে দাবি করেন অনেকে।
এ বিষয়ে জেলা ফায়ার সার্ভিসের সহকারী পরিচালক জসিম উদ্দিন জানান, বৈদ্যুতিক শর্টসার্কিটে আগুনের সূত্রপাত বলে প্রাথমিক ধারণা করা হচ্ছে। তবে তদন্ত ছাড়া ক্ষতির পরিমাণ উল্লেখ করতে চাননি তিনি।
জেলা পুলিশ সুপার মো. শহিদুল ইসলাম জানান, উৎসুক জনতার কারনে আগুন নিয়ন্ত্রণে বেশ বেগ পেতে হয়েছে। তারপরও সবার সম্মিলিত চেষ্টায় ফায়ার সার্ভিসের ৫ ঘণ্টার চেষ্টায় আগুন নিয়ন্ত্রণে আসে।
বিডি প্রতিদিন/ ওয়াসিফ