চাঁদপুরে দু’মাস অলস সময় কাটানোর পর জেলেরা শনিবার মধ্যরাত থেকে বুকভরা আসা নিয়ে রূপালী ইলিশ আহরণে নামবে পদ্মা-মেঘনা নদীতে। ইলিশ আহরণের জন্য গত কয়েক সপ্তাহ জাল-নৌকা প্রস্তুত করার কাজে ব্যস্ত ছিল জেলেরা।
গত ১ মার্চ থেকে ৩০ এপ্রিল পর্যন্ত চাঁদপুরের মতলব ষাটনল থেকে হাইমচরের চরভৈরবী পর্যন্ত ৬০ কিলোমিটার পদ্মা-মেঘনা নদী এলাকায় সরকার ইলিশসহ সকল প্রকার মাছ আহরণ, মজুদ, ক্রয়-বিক্রয় ও পরিবহন নিষিদ্ধ করেছিল। অভয়াশ্রম চলাকালে জেলার ৪৪ হাজার ৩৫ জন নিবন্ধিত জেলেকে ফেব্রুয়ারি থেকে ৪ মাস ৪০ কেজি করে খাদ্য সহায়তা হিসেবে চাল প্রদান করা হয়েছে।
গত দু’মাসে জাটকা সংরক্ষণ অভিযান পর্যালোচনায় দেখা গেছে, নিবন্ধিত জেলেদের মধ্যে অধিকাংশ জেলেরা মাছ ধরা থেকে বিরত ছিল। তবে এক শ্রেণির অসাধু ও মৌসুমী জেলেরা চাঁদপুরের অভয়াশ্রম এলাকায় জাটকা ইলিশ নিধন করেছে। এই বিশাল নদী এলাকায় জেলা টাস্কফোর্স সদস্য কম হওয়ার পরও সর্বোচ্চ প্রচেষ্টা চালিয়ে জাটকা নিধন সম্পূর্ণভাবে বন্ধ করা সম্ভব না হলেও, অনেকাংশে সফল হয়েছে।
জেলা মৎস্য কর্মকর্তা গোলাম মেহেদী হাসান বলেন, গত দু’মাসে জেলা টাস্কফোর্স জাটকা ইলিশ রক্ষায় ৫০৭টি অভিযান ও ৮৫টি ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করেছে। এতে সাড়ে ৯৬ লাখ বর্গ মিটার কারেন্ট জাল জব্দ ও ধ্বংস করা হয়। ১৫৪টি মামলা দায়ের ও ১৫২ জন জেলেকে বিভিন্ন মেয়াদে সাজা দেওয়া হয়েছে। নিলামকৃত আয় প্রায় আড়াই লাখ টাকা। অভিযানকালে সাড়ে ১২ মেট্রিক টন জাটকা আটক করে গরিব, অসহায় ও এতিমদের মাঝে বিতরণ করা হয়েছে।
বিডি প্রতিদিন/এমআই