বগুড়ায় শ্রমিক সংকটে পড়েছেন বোরো ধান চাষিরা। উচ্চ দামে শ্রমিক নিয়ে বোরো ধান মাড়াই করতে হচ্ছে। তাও শ্রমিক পাওয়া যাচ্ছে না। এমন অবস্থায় ধানের দাম বাড়ানোর দাবি কৃষকদের।
গত কয়েকদিন আগে থেকেই পুরো জেলার ১২টি উপজেলায় বোরো ধান কাটা শুরু হয়েছে। একসঙ্গে সকল কৃষকের ধান কাটা শুরু হওয়ায় শ্রমিক সংকটে জেলার চাষিরা।
সারিয়াকান্দি উপজেলার সদর ইউনিয়নের পারতিতপরল গ্রামের চাষি বাদশা মিয়া জানান, উচ্চমূল্যে শ্রমিক নিয়ে ধান কাটা এবং মাড়াই করতে তার লোকসান গুনতে হচ্ছে। ৪০ শতাংশ জমিতে তিনি বিআর-২৮ জাতের বোরোধান লাগিয়েছিলেন। বাতাসে সব ধানই তার নুয়ে পড়েছে এবং ভাইরাস ধরে কিছু ধান চিটা হয়েছে। কয়েকদিন আগে তিনি শ্রমিক নিয়ে কিছু জমির ধান কেটে দেখেন উত্তোলিত ধানের দাম হিসেবে শ্রমিকের মূল্যই তার উঠছে না। ফলে বাকি জমির ধান তিনি কাটার আশা ছেড়ে দিয়েছেন।
তিনি বলেন, শনিবার প্রতি শ্রমিককে ধান কাটা বাবদ দুই বেলা খাবার দিয়ে ৬৫০ টাকা করে পরিশোধ করতে হয়েছে।
কাহালু উপজেলার পন্ডিতপুকুর গ্রামের দিলবর হোসেন বলেন, আমি আমার ২৫ বিঘা জমিতে বোরোধান লাগিয়েছি। এরকম শ্রমিকের দাম হলে ধানচাষ একেবারে ছেড়ে দিতে হবে। তবে ধানের দাম যদি বেশি পাওয়া যায় তাহলে এ ক্ষতিটা কিছুটা পুষিয়ে আনা যাবে।
তিনি জানান, শনিবার ধানকাটার শ্রমিকের মজুরি ছিল ৭০০ হতে ৭৫০ টাকা। একদিকে উচ্চমূল্য আবার অপরদিকে শ্রমিকরা যোহরের আযানের আগেই কাজ ফেলে চলে যান।
এ ছাড়া বিভিন্ন উপজেলায় খোঁজ নিয়ে জানা যায় শনিবার গ্রামে গ্রামে দুইবেলা খাবার দিয়ে ধানকাটার শ্রমিকের মজুরি ছিল ৭৫০ হতে ৮০০ টাকা। খাবার ছাড়া শ্রমিকের মজুরি ৮৫০ টাকা।
সারিয়াকান্দি উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা আব্দুল হালিম বলেন, ধান নুয়ে পড়ার কারণে কম্বাইন্ড হারভেস্টার দিয়ে ধান কাটা সম্ভব হচ্ছে না। তাই শ্রমিকের ওপর চাপ বেশি সৃষ্টি হয়েছে। এটা শুধু এ উপজেলাতেই না পুরোদেশের চিত্র।
বিডি প্রতিদিন/জুনাইদ আহমেদ