নাটোরে নারী সেজে পথচারীদের থেকে সর্বস্ব ছিনতাই চক্রের সদস্য মামুন আলীকে (৪২) গ্রেফতার করেছে পুলিশ। বুধবার দিবাগত রাতে ছিনতাইয়ের প্রস্তুতিকালে বনবেলঘড়িয়া পশ্চিম বাইপাস এলাকা থেকে তাকে গ্রেফতার করা হয়।
এসময় তার বোরখার ভেতর থেকে ছিনতাইয়ের কাজে ব্যবহৃত একটি ধারালো চাকু ও রডের পাইপ উদ্ধার করা হয়। তবে তার সহযোগী রনি হোসেন (৩৮) নামে এক যুবক পুলিশের উপস্থিতি টের পেয়ে দৌড়ে পালিয়ে যায়।
গ্রেফতার মামুন আলী (৪২) বনবেলঘরিয়া বাইপাস এলাকার মৃত বাহার আলীর ছেলে। মামুনের বিরুদ্ধে নাটোর সদর থানায় ছিনতাই ও চুরির চারটি মামলা রয়েছে।
এ ঘটনায় বৃহস্পতিবার নাটোর সদর থানার সহকারী উপ-পরিদর্শক মো. সাখাওয়াত হোসেন বাদী হয়ে অস্ত্র আইনে একটি মামলা দায়ের করেছেন।
সহকারী উপ-পরিদর্শক মো. সাখাওয়াত হোসেন জানান, বৃহস্পতিবার রাত ২টার সময় তার নেতৃত্বে পুলিশের রাত্রীকালীন একটি টহল টিম নাটোর-রাজশাহী মহাসড়কের মহিলা কলেজ গেইট এলাকায় দায়িত্ব পালন করছিল। এসময় কলেজের সামনে নির্জন রাস্তায় বোরখা পরিহিত এক নারীকে একজন মোটরসাইকেল আরোহীর সাথে দাঁড়িয়ে থাকতে দেখে কাছে যান তারা।
পরে কোথায় যাবেন জানতে চাইলে পুলিশ দেখে মোটরসাইকেল চালক পালিয়ে যায়। তখন বোরখায় মুখ ঢাকা ওই নারীকে জিজ্ঞাসাবাদ করলে তার কণ্ঠস্বর শুনে পুলিশের সন্দেহ হয়। তখন বোরখার মুখ খুলতে বললে তিনি তর্ক শুরু করেন। হঠাৎ পায়ের জুতা দেখে পুলিশ বুঝতে পারে তিনি নারী নয়, পুরুষ। এসময় তার শরীর তল্লাশি করে একটি ধারালো চাকু ও রডের পাইপ উদ্ধার করা হয়। তাকে আটক করে থানায় এনে জানা যায় তার নাম মামুন ও তার সাথে থাকা ছিনতাইয়ে সহযোগী ব্যক্তির নাম রনি।
সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (তদন্ত) আবুল কালাম আজাদ বলেন, মামুনকে আদালতের মাধ্যমে কারাগারে প্রেরণ করা হয়েছে। নারী সেজে মামুনের ডাকে যারাই সাড়া দিতেন, তারাই বিপদে পড়েছেন। অভিনব এ ছিনতাই কাজে জড়িত পুরো চক্রকে ধরতে অভিযান পরিচালনা করছে পুলিশ।
বিডি প্রতিদিন/এমআই