সিরাজগঞ্জ পৌরসভার ধানবান্ধি মহল্লার ৭০ বছরের নয়ন জুলি জলাশয় মাটি ভরাট করে দখলের পায়তারা করা হচ্ছে। এলাকাবাসীর অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে বৃহস্পতিবার দুপুরের পর উপজেলা সহকারী কমিশনার মোহাম্মদ রবিন শীষ পরিদর্শন শেষে অবৈধ দখল বন্ধের নির্দেশ দিয়েছেন।
এর আগে বেলা ১১টার দিকে দখলদারদের হাত থেকে সরকারি খাস জমি (নয়ন জুলি) দখলমুক্ত করার দাবিতে সিরাজগঞ্জ জেলা প্রশাসক বরাবর লিখিত অভিযোগ দেন স্থানীয়রা।
স্থানীয় ৯৫ ব্যক্তি স্বাক্ষরিত অভিযোগে উল্লেখ করা হয়, ধানবান্ধি বিএল উচ্চ বিদ্যালয়ের উত্তর থেকে নবদ্বীপ পুল পর্যন্ত প্রবাহিত নয়ন জুলিটি অত্র অঞ্চলের অন্তত ৫ শতাধিক পরিবারের পানি নিষ্কাশনের একমাত্র জলাশয়। যেটি সরাসরি কাঁটাখালি নদীতে গিয়ে মিলেছে। সম্প্রতি কিছু অসাধু ব্যক্তি রাতারাতি ট্রাকে করে মাটি এনে ওই নয়ন জুলি ভরাট করে দখলের অপচেষ্টা করছিলেন। এতে পানি নিষ্কাশনের একমাত্র রাস্তাটি বন্ধ হয়ে যাওয়ার আশঙ্কা দেখা দেয়।
ডা. নজমুল হক জানান, ওই নয়ন জুলি ভরাট করলে অত্র অঞ্চলের পানি বের হওয়ার রাস্তা পাবে না। ফলে বর্ষা মৌসুমে অনেক পরিবার পানিবন্দী হয়ে পড়বে।
মির্জা মোস্তফা জামান বলেন, ৭০ বছর ধরে এ নয়ন জুলি দিয়ে এলাকার সব পানি নিষ্কাশিত হয়ে কাঁটাখালিতে গিয়ে পড়ছে। হঠাৎ এটি দখলের পাঁয়তারা করছে একটি মহল। বিষয়টি নিয়ে জেলা প্রশাসক বরাবর একটি লিখিত অভিযোগ দেওয়া হয়।
সদর উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) মোহাম্মদ রবীন শীষ বলেন, লিখিত অভিযোগ পাওয়ার পরপরই ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে তাৎক্ষণিক মাটি ভরাট বন্ধের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। সার্ভেয়ার দিয়ে পরিমাপ করার পর নয়ন জুলি উদ্ধারে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
বিডি প্রতিদিন/এমআই